দ্য এক্সপোস ব্যুরোঃ- মহামারী পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষকে বারংবার বলা হচ্ছে একে অপরের পাশে থাকতে, করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিকে একঘরে না করে দিয়ে তাকে সাহায্য করতে। কিন্তু তবুও কোথাও কোথাও চোখে পড়ছে মানুষের দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ। শুধুমাত্র পাড়া-প্রতিবেশীরাই নয়, কখনও কখনও নিজের বাড়ির সদস্যরাও করোনা আক্রান্ত বা করোনার উপসর্গ আছে এমন ব্যক্তির পাশে দাঁড়াচ্ছেন না। এমনই একটি দৃশ্য চোখে পড়ল আলিপুরদুয়ারে।
সুত্রের খবর, আলিপুরদুয়ারের মাদারি হাট ব্লকের রাঙ্গালিবাজনা গ্রাম পঞ্চায়েতের জাহাদিপাড়া সংলগ্ন এলাকায় এক ব্যক্তির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা এলাকায়। মৃত ব্যক্তির নাম প্রভাসু রায়, বয়স ৪৫। দীর্ঘ বেশ কয়েকদিন ধরে জ্বর-সর্দি কাশি সহ করোনার বেশ কয়েকটি উপসর্গ ছিল তার। স্থানীয় সূত্রে খবর, বুধবার রাতে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়। কিন্তু তবুও এগিয়ে আসেনি কেউ, এমনকি পরিবারের লোকেরাও না, আসেনি অ্যাম্বুলেন্সও। বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টা বেজে গেলেও ওই ব্যক্তি দেহ পড়ে থাকে তাঁর বাড়িতেই। মৃত্যুর এতটা সময় হয়ে যাওয়ার পরেও ওই ব্যক্তি সৎকারে এলাকাবাসী, স্বাস্থ্য দপ্তর এমনকি পুলিশ প্রশাসন কেউই এগিয়ে আসেনি। অবশেষে হিন্দু হওয়া সত্ত্বেও দাহ না করে কবর দেওয়া হয় ওই ব্যক্তিকে। দীর্ঘ কয়েকঘন্টা মৃতদেহ বাড়িতে পড়ে থাকায় রেড ভলান্টিয়াররা এই ঘটনার খবর পান। এরপর ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায় মাদারি হাট বীর পাড়া ব্লকের রেড ভলান্টিয়ারের সদস্যরা। তারাই অবশেষে ওই ব্যক্তির মৃত দেহ সৎকারে এগিয়ে আসে। রেড ভলান্টিয়ারের সদস্যরা জানায়, টাকার অভাবে তারা ওই ব্যক্তির সৎকার করতে পারেনি তবে তারা ওই মৃত ব্যক্তিকে কবর দেয়। মহামারী পরিস্থিতিতে রেড ভলান্টিয়ার্সের এইভাবে সাধারণ মানুষের পাশে এসে দাঁড়ানোর ঘটনা সত্যিই প্রশংসনীয়।