নিজস্ব প্রতিনিধি , কোচবিহার :- “দড়ি ধরে মার টান রাজা হবে খান খান” হীরক রাজার দেশে সিনেমার শেষ সিনের মত পরিস্থিতি কোচবিহারের সিতাইয়ে । লোকসভা নির্বাচনে জয়ী কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামানিক । বহু বছর ধরে বিভিন্ন নির্বাচনের দায়িত্ব নিজের কাঁধে নিয়ে কোচবিহারে তৃণমূল কংগ্রেসকে এগিয়ে রেখেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঘোষ । নেপথ্যে কাজ করে গিয়েছেন জগদীশ চন্দ্র বর্মা বসুনিয়ার মত লোকেরা । কখনো প্রকাশ্যে গুলি চালানো , কখনো মিথ্যে মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া আবার কখনো গুন্ডাবাহিনী পাঠিয়ে বাড়ি ভাঙচুর করা এলাকাবাসীর একাধিক অভিযোগে যুক্ত তিনি । কোচবিহার রাজার শহর হলেও সিতাই বিধানসভা ছিল তার আলাদা রাজপাট , যেখানে অত্যাচারী রাজার ভূমিকা গ্রহণ করে রাজত্ব চালিয়েছেন জগদীশ চন্দ্র বর্মা বসুনিয়া ।
আরো পড়ুন :- পরাজয়ের উত্তর খুঁজে পাচ্ছিনা , সম্পূর্ণটাই গোলকধাঁধা আমার কাছে : গৌতম দেব
- Advertisement -
শেষ পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকে জাল বুনতে শুরু করেছিল সাধারণ মানুষ , হিসেব করে নিয়েছিলন বাক্য ব্যায় করে অত্যাচারিত হবার থেকে সুধে আসলে শোধ তুলবেন ইভিএমে । কিন্তু তারপরও থেমে থাকেনি কোচবিহারে শাসক দলের কার্যকর্তারা , বিজেপির বিজয় মিছিল কে লক্ষ করে বোমা ছোড়া হয় , অভিযোগের তির তুফানগঞ্জের তিন নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কর্মী নির্মল মন্ডলের ছেলে গুড্ডু মন্ডলের দিকে । তারপর কাল সন্ধ্যে থেকেই তৃণমূল বিজেপি সংঘর্ষ পৌঁছায় চরম পর্যায়ে । অভিযোগ প্রথমে তৃণমূলের কর্মীরা বিজেপি বিজয়সম্মেলনে আসা সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে কর্মীদের উপর মারধর চালালে পাল্টা আক্রমণ চলে বিজেপির পক্ষ থেকে, ফলে দু পক্ষেরই বহু কর্মী সমর্থকেরা আহত হন।
আরো পড়ুন :- মোদি জিতেছে , ভিড় জমেছে বিশুর দোকানে , মিলছে বিনে পয়সার চা
অবশেষে রাজার রাজপাট ধংসে মাঠে নামে সাধারণ মানুষ , সকাল গড়িয়ে দুপুরের দিকে এগোলে এলাকাবাসীরা সিতাই বিধানসভায় তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর চালায় সাথে যোগ দেন বিজেপি কর্মী সমর্থকেরা । চলতে থাকে রাজার রাজপাট ধ্বংস করবার প্রয়াস । কখনো তৃণমূল কর্মীদের বাড়ি আবার কখনো বিভিন্ন পার্টি অফিস , সাধারণ মানুষের শুরু করা কর্মকান্ডে থমথমে সিতাই , আতঙ্কে শাসক দলের নেতা কর্মীরা । যদিওবা তৃণমূলের অভিযোগ ক্ষমতায় আসার সাথে সাথেই মার দাঙ্গায় মেতেছে বিজেপি । পরিস্থিতি সামলাতে এই মুহূর্তে পুলিশি ঘেরাটোপে আবদ্ধ সিতাই ।