নিজস্ব প্রতিনিধি , বহরমপুর :- বউকে ফিরে পেতে শ্বশুরবাড়ির সামনে তথ্য প্রমাণ সহযোগে ধর্ণায় স্বামী । ঘটনাটি ঘটেছে বহরমপুর থানার কাশিমবাজার কলমবাগান এলাকায়। স্বামী দেবাশীষ রায়ের বক্তব্য তাদের সাত বছরের প্রেম , তারপর মাস চারেক আগে এক বিয়েতে সে বহরমপুর আসে , সেখানেও একই বিয়ে বাড়িতে দেবাশীষ এবং রিয়া সময় কাটায় , সেখান থেকেই তারা পালিয়ে গিয়ে মন্দিরে বিয়ে করে । দেবাশীষের বাড়ি থেকে এই বিয়ে মেনে নিলেও রিয়ার বাড়ি থেকে প্রথমে মানতে অস্বীকার করেন যে তাদের মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে , অবশেষে মালদায় পৌঁছে তাদের একসাথে সংসার করতে দেখে সমস্ত ঘটনার চাক্ষুস প্রমান পেয়ে মেনে নেন তাদের মেয়ে এখন বিবাহিত ।
আরো পড়ুন ঃ-
রক্তমাখা হাত নিয়ে থানায় এসে বাবাকে খুনের স্বীকারোক্তি ছেলের
- Advertisement -
চার মাস সুখে শান্তিতে সংসার করলেও এর মধ্যে শ্বশুরবাড়ি থেকে ডাক আসে মেয়ে জামাইয়ের , তারা এসে প্রায় সপ্তাহ খানেক কাটিয়েও যায় বহরমপুরে । এরপর মেয়ের বাবা সুখেন মন্ডল মেয়েকে ভাদ্র মাস পালন করানোর জন্য কাশিমবাজারের বাড়িতে নিয়ে আসে। তারপর থেকে মেয়ের বাবা আর মেয়েকে শ্বশুর বাড়িতে যেতে দিতে চাইছে না বলে জানিয়েছে জামাই দেবাশিষ রায়। রবিবার সকাল ৭টা থেকে জামাই দেবাশিষ রায় শ্বশুর বাড়ির সামনে ধর্ণায় বসে। তার দাবী আমি আমার ভালোবাসা এবং বিয়ে করা বৌকে ফিরে পেতে চাই , ফিরে না পেলে আত্মহত্যার পথ বেছে নেব। যদিও রিয়া মন্ডল সাফ জানান , “আমাকে বল পূর্বক তুলে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করেছে , তার ওপর অত্যাচার চালানো হত , তার কাছে বাড়ির সাথে যোগাযোগের কোন মাধ্যম ছিলনা তাই বাধ্য হয়েই তাকে মালদায় থাকতে হয় ।”
আরো পড়ুন ঃ-
মেয়েদের হাতে মা খুন ! গুণধর মেয়েদের গণপিটুনি প্রতিবেশীদের
নিজের স্ত্রীয়ের অন্য জায়গায় বিয়ে হচ্ছে শুনেই শ্বশুরবাড়ির সামনে ধর্ণায় বসতে বাধ্য হয়েছে দেবাশীষ , অপরদিকে রিয়ার দাবি সে আর তার সাথে সংসার করতে পারবেনা , তার গোটা জীবন পরে রয়েছে অবশ্যই সে অন্য জায়গায় বিয়ে করবে । এদিকে জামাইয়ের বক্তব্য যেহেতু সে সরকারি চাকুরিজীবি নয় তাই শ্বাশুড়ীর চোখে সে ফেলনা । অবশেষে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে দু পক্ষকেই জিজ্ঞাসাবাদ করে থানায় নিয়ে যায় দেবাশীষকে ।