দ্য এক্সপোস ব্যুরোঃ- বিধান সভা ভোট শুরু হতে এখনও কয়েকমাস বাকি, তবে ভোটের প্রস্তুতি চলছে জোড়কদমে, জেলায় জেলায় দেখা মিলছে একের পর এক দলীয় সভা, রাজ্য সফরে বেড়িয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রতিটি জেলায় ঘুরে দেখছেন দলীয় কর্মসূচি এবং শুনছেন ভোটারদের মনের কথা, তারই মাঝে, বোলপুরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা ছিল আজ। প্রসঙ্গত, চলতি মাসে কয়েকদিন আগেই বোলপুরে সভা এবং রোড-শো করেগেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, এবার তাঁর সভার পালটা সভা যেন আজ হলো তৃণমূলের তরফে, বোলপুরেই, সাথে ছিল মুখ্যমন্ত্রী রোড- শো।
অমিত শাহের রোড-শো নিয়ে কটাক্ষ করে ছিলেন তৃণমূল নেতা তথা জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মন্ডল, তিনি বিজেপিকে কটাক্ষ করে বলেছিলেন, তৃণমূলের রোড-শোয়তে ১লক্ষের বেশি লোকের ভীড় চোখে পড়বে, প্রায় এক লক্ষের বেশি লোকের মিছিল হবে, আজ দুপুরেও তিনি দাবি করেন, মিছিলে ৩লক্ষের বেশি লোক রয়েছে৷
তবে আজ গোটা সফরে তথা বোলপুরের তৃণমূলের সভার মঞ্চে দেখা গেলোনা তৃণমূলের প্রভাবশালী নেতা তথা জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মন্ডলকে, মুখ্যমন্ত্রীর সভায় এবং মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বোলপুরের সাংসদ অসিত মাল, বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায়, এমনকি মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহাও রয়েছেন সেখানে। শুধু কি তাই! এদিনের সবচেয়ে বেশি আকর্ষণ ছিল বোলপুরের রোড-শো, সেখানেও তাঁকে দেখা গেলো না, মুখ্যমন্ত্রীর পাশে হাটতে, অনেকে মনে করেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দ্রুত পায়ে হাঁটতে অভ্যস্ত, তাই হয়তো সেই হাঁটার সাথে তালমিলিয়ে হাঁটতে হয়তো পারছেন না অনুব্রত মন্ডল, কিন্তু এত জনের ভীড়ে কি? একদমই হারিয়ে গেলেন তৃণমূলনেতা?
সেই নিয়েই প্রশ্ন উঠছে এবার!
- Advertisement -
এমনকি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন বক্তৃতা দিচ্ছেন মঞ্চে তখনও দেখা যায় নি তাঁকে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তৃতার সময় ফেসবুক লাইভও চলছিল সেই ফ্রেমেও ধরা পরেনি তাঁর ছবি, সব মিলিয়ে আজ সবার আড়ালেই ছিলেন তিনি। এই বিষয় নিয়ে সবার মনেই বিষ্ময় জেগেছে এবার! তাহলে কি এর পেছনে রয়েছে অন্য কোন কারণ? শুধুমাত্র, বক্তৃতার শেষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “কেষ্টা, চাঁদু, আশিস দা থেকে শুরু করে, শতাব্দী থেকে শুরু করে, অসিত দা থেকে শুরু করে, ধামসা মাদল থেকে শুরু করে…… ” ব্যাস এতেই শেষ!
এবিষয়ে আপাতত নতুন করে জল্পনা বাসা বেঁধেছে রাজনৈতিক মহলে। এ বিষয়ে বিজেপির মুখপাত্র সায়ন্তন বসু কটাক্ষ করে বলেন, ” তাই নাকি! এ বাবা! রবীন্দ্রনাথের ভাবধারা, তাঁর দর্শন নিয়ে সভার আলোচনা হয়েছে, আর এ ব্যাপারে বিদগ্ধ মানুষটি ছিলেন না “, তাঁর কথায়, চড়াম চড়াম ঢাক, শুঁটিয়ে লাল করে দেওয়ার মতো সাধু ভাষা বলে যারা রাজনীতি করে, তাদের কে হয়তো নিয়ে ইচ্ছে করেই শো -কেসে রাখা হয়নি, নাহলে ইমেজ খারাপ হয়ে যাবে তো! ফলত, রাজনৈতিক মহল আবারও উত্তাল এই সভা ঘিরে।