দেবজ্যোতি কাহালি , কোচবিহার :- শিবরাত্রির আগেই কোচবিহার জেলার বানেস্বরের ঐতিহ্যবাহী বানেশ্বর মন্দির সংলগ্ন দীঘি থেকে শতবর্ষ প্রাচীন ‘মোহন’ চুরির । এই অভিযোগে এক যুবককে হাতেনাতে গ্রেফতার করল পুন্ডিবাড়ি থানার পুলিশ।
- Advertisement -
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে ধৃত যুবকের নাম বিজয় কুমার মৈত্র, বাড়ি বানেশ্বর শিক্ষক পল্লী এলাকায়। তার কাছ থেকে একটি ১০ কেজি ওজনের মোহন উদ্ধার করা হয়।
দীর্ঘদিন থেকেই ওই এলাকায় মোহন চুরি হয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। এই মাসের ১৯ তারিখ রাতে স্থানীয়দের হাতে চুরি যাওয়া প্রায় ১০ কিলো ওজনের একটি মোহন সমেত হাতেনাতে ধরা পড়ে যায় বানেশ্বর শিক্ষক পল্লী এলাকার বাসিন্দা বিজয় কুমার মৈত্র নামে এক ব্যাক্তি । প্রাথমিকে জেরায় বিজয় কুমার মৈত্র জানায়, সে তুফানগঞ্জের এক অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির হাতে মোহনকে তুলে দেওয়ার উদ্দেশ্যেই পুকুর থেকে চুরি করেছিলেন । এই ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে বানেশ্বর সহ গোটা কোচবিহারে।
ইন্ডিয়ান টোর্টেল বা ভারতীয় কাছিম। কোচবিহারের বানেশ্বর এলাকায় প্রায় প্রতিটি দীঘিতে পাওয়া যায় । কোচবিহার বাসীর কাছে এই কাছিম ‘মোহন’ নামে পরিচিত। বানেশ্বরে প্রতিষ্ঠা মহাদেবের অন্যতম সুরক্ষা কর্মী হিসেবে কোচবিহারবাসীর কাছে অত্যন্ত পূজনীয় এবং শ্রদ্ধার প্রাণী এই মোহন।কোচবিহারবাসি ‘মোহন’ ধরা তো দূরের কথা তাদের সম্পর্কে কটু কথা পর্যন্ত বরদাস্থ করে না। আর কোচবিহার বাসি হিসেবে এসেই মোহনকে চুরি করে বিক্রি করাকে চেষ্টা করায় রীতিমতো বিজয় কুমার মৈত্র বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি অনুযায়ী শাস্তি দাবি করেছেন কোচবিহারের জনগণ।
জানা গিয়েছে, এদিন সন্ধ্যায় পুকুরের পেছনের অন্ধকার জায়গা থেকে এক যুবককে ব্যাগ হাতে করে বেরিয়ে আসতে দেখে এলাকার মানুষজন । তাকে আটক করলে সেই যুবকের ব্যাগ থেকে বেরিয়ে আসে একটি জীবিত মোহন(কাছিম)। খবর দেওয়া হয় বানেশ্বর পুলিশ ফাঁড়িতে । পুলিশ এসে তাকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, তার বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই মামলা রুজু করা হয়েছে। পাশাপাশি এই মোহন পাচার কাণ্ডের সঙ্গে ভিন রাজ্যের বড় কোন পাচার চক্রের যোগ রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ ।