নিজস্ব প্রতিনিধি , শিলিগুড়ি :- অপেক্ষা ছিল শুধুমাত্র ঘোষণার , কেন্দ্রের ছাড় পত্রের পরই সকাল থেকেই শহরের বিভিন্ন মদের দোকানে ভিড় সূরা প্রেমীদের । মদের দোকান তালা বন্ধ , তাতে কি ? নির্দেশিকা যখন জারি হয়েছে সে ক্ষেত্রে দোকান অবশ্যই খুলবে এবং সেই কারণেই সকালের খাওয়া দাওয়া সেরে ব্যাগ হাতে বেরিয়ে পড়া মদ কিনতে । কেউ লাইন সামলাতে রেখেছেন ব্যাগ বা অন্যান্য বস্তু আবার কেউ নিজেই দন্ডায়মান । দোকান থেকে লাইন চলে গিয়েছে বহুদূর ।
- Advertisement -
লক ডাউনের প্রথম দিন থেকেই মদকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন রকমের ঘটনা ঘটে গিয়েছে । এক কথায় বলা যেতেই পারে “যত কান্ড মদ ঘিরে” । কখনো খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে মদের কালোবাজারির খবর আবার কখনো খোদ মদের দোকানেই চুরি। লক ডাউনে মদের বিকিকিনি নিয়ে ছিল নানা প্রকার অস্বচ্ছতা। কেরল এবং অসমে প্রথমে মদের দোকান খোলার নির্দেশ থাকলেও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হওয়ার কারনে আবার বন্ধ করার নির্দেশ দেয় সরকার। তারপরই রটে গেল মদের হোম ডেলিভারিতে মত প্রকাশ করেছে সরকার। তা নিয়ে স্যোশাল মিডিয়ায় মদের দোকানকে কেন্দ্র করে বিস্তর বিজ্ঞাপন চালু হল। সেই রটনারও নিষ্পত্তি হল। কেন্দ্র থেকে নির্দেশিকা জারি হল লক ডাউন উপেক্ষা করে মদ বিক্রি সম্পূর্ণ বন্ধ। কোন প্রকার কানাঘুষোর অবকাশ না রেখে নির্দেশিকা জারি করা হয় , হোম ডেলিভারি থেকে দোকান খুলে মদ বিক্রি সব বন্ধ।
কিন্তু এবার আর কোন মতভেদ নেই , এ যে একেবারে কেন্দ্রেরই নির্দেশ। খোলা যাবে মদের দোকান। সুরা প্রেমীদের কাছে এই ঘোষনা দৈববাণী-র ন্যায়। শহরের বিভিন্ন মদের দোনকে সকাল থেকেই ভিড় জমতে শুরু করে। তাতেই বিঘ্নিত হয় লক ডাউনের শৃঙ্খলা। বজায় নেই সামাজিক দুরত্ব , কাজেই মাঠে হাল ধরতে নামতে হয় পুলিশকে। বিভিন্ন মদের দোকানের সামনে পুলিশ পৌঁছে সুরা প্রেমীদের সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখতে অনুরোধ করেন , সেক্ষেত্রে কখনো কঠিনও হতে হয় প্রশাসনকে।
একদিকে লক ডাউনকে কেন্দ্র করে মধ্যবিত্ত থেকে নিম্ন-মধ্যবিত্তের মধ্যে একটি প্রসঙ্গ বরাবরই উঠে আসছে তা হল “আর্থিক সংকটের” প্রসঙ্গ। কিন্তু মদের দোকানের সামনে লম্বা লাইন সে কথা বলছে না। এমনটাই কথা উঠে আসছে নেটিজেনদের পক্ষ থেকে । মদের দোকানের লাইনের সঙ্গে তুলনা হচ্ছে রেশনের দোকানের লম্বা লাইনের ।