ব্যুরো রিপোর্ট , এক্সপোস :- বৈঠকের পর বৈঠক , চিঠি চালাচালির পর কেন্দ্র-রাজ্য একটি সমঝোতার জায়গায় আসতে না আসতেই আন্তঃমন্ত্রক দলকে কেন্দ্র করে আপত্তি উঠল পাহাড়ে । সাংবাদিক বৈঠক করে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার নেতা বিনয় তামাং জানান , “করোনা সংক্রমণ রুখতে রাজ্য এবং জেলা সহ ভিন রাজ্যের মধ্যে যাতায়াত ইতিমধ্যেই বন্ধ । সেক্ষত্রে উনারা দিল্লি থেকে এসেছেন , যেখানে করোনা সংক্রমণের হার যথেষ্ট উদ্বেগজনক । নিয়ম অনুযায়ী বাধ্যতামূলক ভাবে তাদের ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে । বাইরের জেলা থেকে কোন ব্যক্তি এলে তার ক্ষত্রে যদি এই নিয়ম লাগু হতে পারে তাহলে আন্তঃমন্ত্রক বা কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক দলের ক্ষেত্রে সেই নিয়ম নয় কেন ? প্রশ্ন তুলছেন বিনয় তামাং । গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার নেতা সাফ জানিয়ে দেন , কেন্দ্রীয় দল পরিদর্শন করবেন তাতে আমাদের কোন আপত্তি নেই , কিন্তু ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকার পর তারা ঘোরাফেরা করুক । নিয়ম না মেনে আমার তাদের জিটিএ এলাকা পরিদর্শন করতে দেব না ।
সহযোগিতা রাজ্যের , আগামীকাল থেকে পর্যবেক্ষণে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক দল
- Advertisement -
এদিকে মঙ্গলবার কেন্দ্র রাজ্যের দোলাচল খানিকটা শিথিল হলে উত্তরবঙ্গে আগত আন্তঃমন্ত্রক দলটির সাথে বুধবার বৈঠক করেন জলপাইগুড়ি ডিভিশনাল কমিশনার তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের সচিব অজিত রঞ্জন বর্ধন । সেখানে জলপাইগুড়ি , দার্জিলিং এবং কালিম্পং জেলার কোভিড এবং লক ডাউন সম্পর্কিত একাধিক তথ্য চেয়ে পাঠান কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক দল। সুত্রের খবর অনুযায়ী রাতের মধ্যে সেই সব তথ্যের প্রেজেন্টেশনের পর প্লান অফ একশন তৈরি করে আগামীকাল পর্যবেক্ষণে বের হবে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক দল । এক কথায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিবের সাথে রাজ্যের বিভিন্ন রকম বার্তালাপের পর আন্তঃমন্ত্রক দলের সাথে সহযোগিতা করবে রাজ্য ঠিক এমনটাই নির্ধারিত থাকলেও পাহাড়ে উঠে আসা আপত্তি আবার উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ।