দ্য এক্সপোস ব্যুরো :- যেখানে কোরোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সাধারণ মানুষকে একে অপরের থেকে দূরত্ব বজায় রাখতে ও সরকারি বিধিনিষেধ মেনে মাস্ক পড়তে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ঠিক সেখানেই সমস্ত বিধিনিষেধ কে উপেক্ষা করে , তৃনমূলেরই এক ত্রাণ তহবিলে চোখে পড়লো অজস্র মানুষের ভিড় ও তার পাশাপাশি তৃণমূল নেতাদের গাফিলতি।
রবিবার বর্ধমান পৌর এলাকার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের লোকো বাজার এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে সাধারণ মানুষদের জন্য এক ত্রান বিলির আয়োজন করা হয়। আর সেই ত্রাণ বিলি কেই কেন্দ্র করে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখেননি তৃণমূলের নেতারা। ঠিক সেই কারণেই সাধারণ মানুষ সহ দলের বাকি কর্মীরাও সবরকম বিধিনিষেধ ভেঙে ফেলেন। প্রায় এক হাজারের বেশি মানুষ উপস্থিত হয়েছিল সেই ত্রাণ তহবিলে। প্রায় একপ্রকার ঠেলাঠেলি ও একে অন্যের গায়ের ওপরে উঠে ত্রাণ নিয়েছিল মানুষ। দীর্ঘদিন লকডাউন চলায় কারোরই কাজকর্ম সেরকম ভাবে নেই। তাই যাতে মানুষ না খেতে পেরে যেন মারা না যায়, সেই কারণেই বিভিন্ন জায়গায় মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই তৃণমূলের সদস্যরা ত্রাণ বিলির আয়োজন করেছেন। কিন্তু সেখানে এইরকম গাফিলতি আশা করেনি কেউই।
- Advertisement -
এই বিষয়ে বর্ধমান পুর এলাকার 6 নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল নেতা শিব শংকর ঘোষ বলেছেন,” মানুষের উৎসাহের কাছেই করোনা পরাজিত হবে। মানুষের সংস্পর্শে এলে কোরোনা হয় কিন্তু সংস্পর্শে এসে দেখা যাচ্ছে করোনা পালিয়ে গেছে ,তাই করোনা যাতে ফেরত না আসে তার জন্যই মানুষ গাঁ ঘেষাঘেষি করে দাঁড়িয়ে আছে”।
এত বড় নেতার এইরকম যুক্তিতে তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক খোকন দাস বলেন, কোন কথার উপর ভিত্তি করে এত বড় কথা বলা হয়েছে তা তিনি জানেন না। তবে ভবিষ্যতে যাতে এই রকম কোন অবস্থার সৃষ্টি না হয় সেদিকে কড়া ভাবে নজর রাখা হবে।
গোটা দেশজুড়ে কোরোনা সংক্রমণ প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। পূর্ব বর্ধমানে এর সংখ্যা প্রায় আড়াইশো। বর্ধমান শহরে মোট সাতটি কনটেইনমেন্ট জোনে লকডাউন চলছে। রবিবার প্রায় 38 জনের দেহে পাওয়া গেছে কোরোনার ভাইরাস। আর ঠিক এইরকম সময় সামাজিক দূরত্ব না মেনে একজন তৃণমূল আধিকারিকের এইরকম গাফিলতি চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সমগ্র বর্ধমান এলাকাজুড়ে।