ব্যুরো রিপোর্ট , এক্সপোস :- বিগত চারদিন ধরে চলছে আন্তঃমন্ত্রক দলের অভিযান । কখনো শিলিগুড়ির নিয়ন্ত্রিত বাজার আবার কখনো মেডিক্যাল কলেজ আবার কখনো কালিম্পং তো আবার কখনো শহরের এপ্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে। সীমা সুরক্ষা বলের কনভয় সমেত পাঁচ থেকে ছয়টি গাড়ি সাই সাই করে আচমকাই নানান অভিযানে। বিভিন্ন স্থানের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বিভিন্ন রকম প্রতিক্রিয়ার পাশাপাশি একটি প্রতিক্রিয়া নির্দিষ্ট থাকে তা হল “কোন প্রকার সাহায্য মিলছে না রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে”। কেন্দ্রীয় দলকে কেন্দ্র করে কেন্দ্র-রাজ্য দন্ধ খানিকটা খান্ত হলেও রাজ্যের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ যেন থামছেই না।
প্রথম দিন থেকে চালচিত্র হিসেব করলে দেখা যাবে , উত্তরবঙ্গে আগত কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক দল আসার দ্বিতীয় দিনেই জলপাইগুড়ি ডিভিশনাল কমিশিনার অজিত রঞ্জন বর্ধন রানিডাঙ্গা এসএসবি হেড কোয়াটারে এসে তাদের সাথে বৈঠক করেন । কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল সূত্রে খবর তারা করোনা সংক্রান্ত বিভিন্ন নথি চেয়ে পাঠিয়েছেন যা সন্ধ্যের মধ্যে পৌঁছে দেবে জেলা প্রশাসন। সেই অনুযায়ী তৈরি হবে অ্যাকশন প্ল্যান ।
- Advertisement -
দার্জিলিং জেলার মুখ্য এবং উপ স্বাস্থ্য আধিকারিকের পাশাপাশি জেলার প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকরা এসে বৈঠক করেন । সেদিনের অভিযানে তাদের সঙ্গে স্বয়ং উপস্থিত ছিলেন বিডিও । তারপর দিন কালিম্পংয়ে ভিজিটে একটি কথা উঠে আসে রাস্তায় তাদের সাথে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে তার দায় বা দ্বায়িত্ব কে নেবে? সেক্ষেত্রে বলে রাখা ভাল এই দলটির লম্বা গাড়ির লাইনের পেছনে প্রতিদিনই রাজ্য পুলিশের একটি বা দুটি গাড়ি লক্ষনীয়। তারপরও দিনের শেষে একটাই প্রতিক্রিয়া “রাজ্য সরকার সাহায্য করছে না”। ঠিক কি ধরনের সাহায্য চাইছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল? তা এখনো স্পষ্টত বোঝা যায়নি। এ বিষয় নিয়ে ধন্দে রয়েছে খোদ রাজ্য প্রশাশনও। একাধিক উচ্চ পদস্থ আধিকারিকদের সাথে দফায় দাফায় বৈঠকের পর নথি চালাচালির পর কি ধরনের সহযোগিতা চাইছে কেন্দ্রীয় দল ?
রাজ্যের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগে নেটিজেনদের বক্তব্য খানিকটা আবার ভিন্ন ধাঁচের । একদিকে রাজ্যের অসযোগিতার অভিযোগ আবার অন্যদিকে রাজ্য সরকার যদি তাদের পথ নির্দেশ করে তাহলে আবার বিভিন্ন মহল থেকে উক্তি উঠে আসবে রাজ্যের দেখানো পথে হাঁটছে কেন্দ্রীয় দল । সেক্ষত্রে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে মনে করছেন একাংশ ।