ব্যুরো রিপোর্ট , এক্সপোস :- অরেঞ্জ জোনের আওতায় শিলিগুড়ি মিনিউসিপাল কর্পোরেশনের ৪১ নং ওয়ার্ড । প্রশাসন থেকে গোটা এলাকা বিভিন্ন দিক থেকে আটকে দেওয়া হলেও ওয়ার্ডের মধ্যেকার পরিস্থিতি কি ?
ক্যামেরায় যে ছবি উঠে এসেছে তা সত্যিই ভাববার । রেড জোনের বর্ডারে দাঁড়িয়ে মানুষের জীবনযাপন অতিবাহিত হচ্ছে খুব স্বাভাবিক ভাবে । আগের মতোই বিভিন্ন স্থানে চলছে আড্ডার আসর । যেন কোন কিছুই হয়নি , প্রশাসন থেকে অরেঞ্জ জোন ঘোষণা হয়েছে কিন্তু কি এই অরেঞ্জ জোন তা হয়ত এই এলাকার মানুষের এখনো বোধগম্য হয়নি । কিন্তু একজনের ভুলেই ভুগতে হবে গোটা এলাকা গোটা শহরকে ।
- Advertisement -
পেশায় ডাক্তার , খোদ তার বাড়িতেই চলছে নির্মাণ কাজ । শ্রমিককে জিজ্ঞেস করায় তার বক্তব্য মালিক বলেছে কাজ করতে আবার মালিক অর্থাৎ ডাক্তার বাবুকে জিজ্ঞেস করায় তিনি পক্ষ অ্যালিবাই আওড়াচ্ছেন ক্যামেরার সামনে । তিনি জানালেন আমি পরিস্থিতি সবটাই জানি , আমি নিজেও মেনে চলি করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সমস্ত নির্দেশিকা । মিস্ত্রি কিছু টাকা পেত , সেই টাকা সে সকালে আমার কাছে চাইতে আসলে কিছু কাজ অসম্পূর্ণ রয়ে গিয়েছিল তা করে টাকা নিয়ে যেতে বলি । এখানে মিস্ত্রির কোন দোষ নেই । কিন্তু আপনি নিজে একজন ডাক্তার হয়ে এমন কাজ কি করে করছেন সেই প্রসঙ্গে তার কোন উত্তর নেই ।
এলাকার বিভিন্ন স্থানে প্রকাশ্যে এবং লুকিয়ে চুড়িয়ে চলছে আড্ডা , সংবাদমাধ্যমকে দেখে যে যেমনভাবে ছুটছে । তাদের বেশিরভাগই মাস্ক বিহীন । কেউ মধ্যাহ্নভোজন সেরে বাড়ির সামনে হাঁটতে বেড়িয়েছেন আবার কেউ একটু বসে গল্প করছেন আবার কেউ মাস্ক মুখ থেকে খুলে পাড়া ঘুরছেন । মাস্ক কোথায় ? প্রশ্নে উত্তর আসছে বাড়িতে রয়েছে , এই একটু বেড়িয়েছি , আবার কেউ একটু মুখে লাগিয়ে অভিমানে “ধ্যাৎ” বলে খুলে হনহনিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে হাঁটতে লাগলেন । আবার কেউ বোঝদার শিক্ষিতের মত ভাবসাব কথাবার্তা বলে জানান , দোকান বন্ধ হয়ে যেত , পাশেই বাড়ি তাই তাড়াহুড়োয় মাস্ক নিতে ভুলে গেছি ।
পরিস্থিতি ঠিক কতটা কঠিন ? বিষয়টি নিয়ে অরেঞ্জ জোনে বসবাসকারীরা কতটা সরগর ? কি এই কোভিড ১৯ অরেঞ্জ জোন ? প্রশাসন থেকে তো নানাবিধ ব্যাবস্থা করা হয়েছে , একটি বলয় আকারে আটকে দেওয়া হয়েছে গোটা এলাকাকে , কিন্তু এলাকার ভেতরে যা চলছে তা সত্যিই ভয়াবহ ।