দ্য এক্সপোস ব্যুরোঃ- বছরের শুরু থেকেই ভারত তথা গোটা বিশ্ব, করোনার থাবায় জড়জাড়িত। দিনে দিনে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ্য বেড়েই চলছে। আর বাড়ছে মৃত্যুর হার। করোনা যে দিনে দিনে এক অতিমারীর রুপ নেবে, আর গোটা বিশ্ব ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিবে তা সবারই অজানা ছিল। সেই মহামারীর রুপ নেওয়া, ধ্বংসকারী করোনা ভাইরাসকে ধ্বংস করতে ভ্যাকসিন আবিষ্কারের চেষ্টা চালাচ্ছে বিজ্ঞানীরা অনেকদিন আগে থেকেই। সেইমতোই করোনাকে রুখতে বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছেন কো ভ্যাকসিনের।
মূলত এখন সেটি পর্যবেক্ষণের পর্যায়ে রয়েছে। বিশ্বে অনেক জায়গায় নির্বাচন করা মানুষের উপর এই ভ্যাকসিনের প্রয়োগ হয়েছে, চলছে তাদের উপর পর্যবেক্ষণ। তারপর দেশের অনেক গুলি জায়গায় এই টীকার প্রয়োগ শুরু হয়, সাথে সাথে চলে পর্যবেক্ষণের কাজ। এবার সেই বিরাট সাফল্য করোনার ভ্যাক্সিন অর্থাৎ করোনার টীকা পৌঁছলো কলকাতায়। সুদূর হায়দরাবাদের ভারত বায়োটেক থেকে করোনার টিকা পৌঁছলো কলকাতার বেলেঘাটা কেন্দ্রীয় সংস্থা নাইসেডে।সুত্রে খবর, হায়দরাবাদের ভারত বায়োট থেকে ১০০০ ভ্যাকসিন পাঠানো হয়েছে।
এবার শুরু হবে এই টীকা বা কো ভ্যাকসিনের প্রয়োগ এবং পর্যবেক্ষণের কাজ। প্রসঙ্গত, সারাদেশের ২৬টি পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষা হয়েছে ২৫৮০০ জনের শরীরে, এবং তাদের উপর পর্যবেক্ষণ চলছে এখনো। পশ্চিমবঙ্গে পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে পরীক্ষা হবে ১০০০ জনের উপর। গোটা দেশ জুড়ে পরপর প্রথম দফা এবং দ্বিতীয় দফার পরীক্ষার সাফল্যের পর । সম্ভবত, আগামী ডিসেম্বর মাস থেকেই শুরু হয়ে যাবে কো ভ্যাকসিনের তৃতীয় দফার পরীক্ষা। গোটা রাজ্যজুড়ে চলবে এই ভ্যাক্সিনের পরীক্ষা। সাথে চলবে সেই পরীক্ষার পর্যবেক্ষণ। এই ভ্যাকসিনের শর্ত অনুযায়ী যারা এই টীকা নেবেন অর্থাৎ যাদের উপর এই ভ্যাক্সিন প্রয়োগ করা হবে সেই স্বেচ্ছাসেবীরা অঙ্গীকার বদ্ধ থাকবেন যে, যেই পত্রে তাদের নাম ও ঠিকানা লেখা থাকবে এবং সেচ্ছায় টীকার প্রয়োগের বিষয়ে অঙ্গীকার বদ্ধ থাকবেন, তাদের এক বছর সেই ঠিকানায় থাকতে হবে। এবং সেখান থেকেই তাদের উপর পর্যবেক্ষণ চলবে এক বছর ধরে।
- Advertisement -
এই বিষয়ে নাইসেড সূত্রে জানাগেছে, কলকাতায় প্রথম ভ্যাকসিন নিতে চলেছেন, কলকাতা পুরসভার প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম। এই ভ্যাক্সিনের বিষয় নিয়েই বৈঠক ডাকা হয়, কলকাতা পুরসভার প্রশাসক ফিরহাদ হাকিমের সাথে নাইসেড অধিকর্তা ও আধিকারিকদের। সেখানেই এই বিষয় নিয়ে সব সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।