দ্য এক্সপোস ব্যুরোঃ- স্থানীয় প্রশাসনের সহোযোগিতায় বুক ভরা সাহস নিয়ে বেশ কয়েকদিন “চিত্ত যেথা ভয় শূন্য , উচ্চ যেথা ভয় শির” মনোভাবে কাটলেও হঠাৎই সবকিছু যেন ফানুসের মত উড়ে গেল। বুক সাহসে আর বল পাওয়া যাচ্ছে না। কারণ শহরে ফের হানা দিতে চলেছে তেলেঙ্গানা পুলিশ। কল সেন্টারের রাঘববোয়ালরা গ্রেফতার হওয়া ব্যাক্তিদের যত তাড়াতাড়ি জামিন আশা করেছিলেন এবং বিষয়টি মুহুর্তের মধ্যেই মিলে গিয়ে আবার পূণরায় ব্যাবসা শুরু হবে ভেবেছিলেন সেই গুড়ে বালি।
পুলিশ সুত্রে খবর কল সেন্টার কান্ডে ধৃতদের ফের রিমান্ডে নেবে তেলেঙ্গানা পুলিশ। সহজেই জামিন পাওয়া যাবে না তা একেবারে নিশ্চিত করেই দিয়েছেন তারা। উল্টে কল সেন্টারের মালিকদের তালিকায় নাম বাড়ছে। সুত্রের খবর খুব শিগগিরই নতুন করে জমা পড়া অভিযোগের ভিত্তিতে হানা দেবে শহর শিলিগুড়ি সহ সংলগ্ন এলাকায়। একদিকে যেমন অভিযোগের তালিকাও বাড়ছে বই কমছে না অপরদিকে মালিকদের তালিকাও বাড়ছে বই কমছে না।
পুলিশ সুত্রে খবর প্রথম হানায় যে সাফল্য মিলেছে তারপর শুধুমাত্র তেলেঙ্গানা নয় ভারতের বিভিন্ন রাজ্য থেকে আসছে অভিযোগ। শুধুমাত্র যে কল সেন্টার মালিকদের ফোন নজরে রয়েছে তা নয় রয়েছে স্থানীয় প্রশাসনদেরও ফোন নম্বর। বিভিন্ন রাজ্য থেকে একাধিক প্রতারণার হদিস মিলছে। শুধুমাত্র তেলেঙ্গানাকে কেন্দ্র করে নয় দেশের বিভিন্ন রাজ্য থেকে যে অভিযোগ মিলছে তা নিয়েও তদন্তে নামছে তেলেঙ্গানা পুলিশ।
- Advertisement -
তেলেঙ্গানা পুলিশের কথায় নামের তালিকায় কিংপিন সন্টু দাস , দেবাশীষ মুখার্জি যেমন রয়েছে তেমনি রয়েছে রাজা-তীর্থর নাম অপরদিকে রয়েছে অমিত পালের নাম। তাদের বক্তব্য প্রায় দু হাজার কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে যাদের নিয়ে আসা হয়েছে তাদের এত সহজেই জামিন মিলবে না। প্রথম অবস্থায় তেলেঙ্গার বা হায়দ্রাবাদের যে অভিযোগ জমা পড়েছে তা নিয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ তল্লাশি চলছে তারপর অন্যান্য রাজ্যের অভিযোগ নিয়ে তদন্ত চলবে। তিনি আরও জানান, ইতিমধ্যেই শহরের বেশ কয়েকজন কল সেন্টার মালিকদের ব্যাঙ্ক একাউন্ট তেলেঙ্গানা পুলিশের নখদর্পনে। চলছে তল্লাশি। পুলিশ সুত্রে খবর নতুন এবং পুরোনো অভিযোগ মিলিয়ে ফের শহরে তেলেঙ্গানা পুলিশের হানা এখন শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা ।