দ্য এক্সপোস ব্যুরোঃ- কেন্দ্রীয় সরকার দেশের কৃষি এবং বিদ্যুৎকে কার্যত কর্পোরেটদের হাতে তুলে দেওয়ার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। এই অভিযোগকে সামনে এনে কৃষক বিদ্রোহে উত্তাল দিল্লির রাজপথ। অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে কৃষক মারা সর্বনাশা কৃষি বিল, তুলে নিতে হবে বিদ্যুৎ আইন, এই দাবিতে আজ গোটা দেশে হরতালের ডাক দিয়েছে দেশের কৃষক সংগঠনগুলি। আর অন্যদিকে, বিজেপি যুব মোর্চার উত্তরকন্যা অভিযানে পুলিশের ‘বর্বরোচিত আচরণ’-এর অভিযোগে এবং এই অভিযানে দলীয় কর্মী পুলিন রায়ের মৃত্যুর প্রতিবাদে কৃষক বন্ধের দিনই ১২ ঘন্টা উত্তরবঙ্গ বন্ধএর ডাক দিয়েছে বিজেপি।
মঙ্গলবার সকাল থেকেই এই জোড়া ধর্মঘটের প্রভাব পড়েছে কোচবিহার শহর সহ জেলার বিভিন্ন প্রান্তে। এদিন সকালে কোচবিহার শহরের উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাস এর সামনে পিকেটিং করেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরা। আটকে দেওয়া হয় সমস্ত বাস। এরপর বিশাল পুলিশবাহিনী এলাকা ঘিরে ফেলে এবং গ্রেপ্তার করা হয় আন্দোলনকারী বিজেপি নেতা কর্মীদের। কোচবিহার শহরের স্টেশন মোড় এবং হরিশপাল চৌপথীতে রাস্তার ওপর টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভে শামিল হন বিজেপি কর্মীরা। অন্যান্য ধর্মঘটে রাস্তায় উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার বাস দেখা গেলেও এদিন সকাল থেকে কোন সরকারি বাসের দেখা মেলেনি। বেসরকারি যাত্রী পরিবহন সহ কোচবিহার শহরের প্রায় সমস্ত দোকান পাঠিই এদিন সকাল থেকেই ছিল বন্ধ। এদিন সকালে কোচবিহার সুনীতি রোড সংলগ্ন ব্রাহ্ম মন্দির কমপ্লেক্স চত্বর থেকে ধর্মঘটের সমর্থনে মিছিল বের করেন বামপন্থী ট্রেড ইউনিয়ন ও ফেডারেশন সমূহ এই মিছিল শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার পরিক্রমা করে।