দ্য এক্সপোস ব্যুরোঃ- গৃহবধূকে মেরে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টায় তড়িঘড়ি করে ফেলা হলো সৎকার। এই রকমই একটি অমানবিক ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল মেখলিগঞ্জে।
জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটে মেখলিগঞ্জ ব্লকের শৌলমারীর অন্তর্গত ১৮২ সারোহাটি এলাকায়। আজ থেকে ঠিক চার বছর আগে মেখলিগঞ্জ ব্লকের ১৬৫ উপনচৌকি এলাকার বাসিন্দা অন্ন বর্মণের কন্যা সুকন্যা বর্মণের সঙ্গে বিয়ে হয় ১৮২ সারোহাটি এলাকার বাসিন্দা সুদীপ বর্মণের। তাদের দুজনের একটি পুত্র সন্তানও হয়। কিন্তু সুকন্যা বর্মনের মা অন্ন বর্মনের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে কখনও সুখে সংসার করতে পারেনি তাদের মেয়ে। শ্বশুর বাড়ির লোকেরা তাদের মেয়ের ওপর অকথ্য মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করত। প্রতিনিয়তই যেন অত্যাচারের পরিমাণ বেড়েই চলছিল। অবশেষে গত ১০ ই মে সকলের অলক্ষ্যে তাদের মেয়ে সুকন্যাকে গলা টিপে নৃশংসভাবে হত্যা করে তাঁর স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়ি। এরপর ঘটনাটিকে চাপা দেওয়ার জন্যে মেয়ের সৎকারও সেরে ফেলে তারা। সুকন্যার পরিবার জানায়, ঘটনার ঠিক তিন দিন পর গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার মেয়ের শ্বশুরবাড়ির প্রতিবেশীদের থেকেই নিজেদের মেয়ের মৃত্যুর খবর পান তারা।
উল্লেখ্য, সুকন্যার মৃত্যুতে রীতিমতো ভেঙে পড়েছে তাঁর পরিবার। ইতিমধ্যেই মেয়ের মৃত্যুতে মেখলিগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন অন্ন বর্মন। অভিযুক্ত সুদীপ বর্মনকে গ্রেফতার করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ৷