সেলিম হাসান সিদ্দিকী , জলপাইগুড়িঃ- ভোটের আগেই সরগরম রাজ্য রাজনীতি। প্রসঙ্গত, সামনেই বিধান সভা ভোট, তার জেড়েই শক্তি বৃদ্ধির আশায় রাজ্যের প্রতিটি দল, শুরু হয়েছে দলের ভাঙন অর্থাৎ দল পরিবর্তনের খেলা, সময়ের সাথে সাথেই কখনও কোন দলের পাল্লা হচ্ছে ভাড়ী আবার কখনও কোন দলের অবস্থা হচ্ছে কাহীল, সব মিলিয়ে এই মুহুর্তে উত্তাল রাজ্য। তারই মাঝে মুখ্যমন্ত্রীর অত্যন্ত প্রিয় “ভোরের আলো ” তেই ঘটলো ঘটনা।
ঘটনাটি ঘটে, সোমবার রাতে গাজলডোবার ভোরের আলো এবং সংলগ্ন এলাকায়। জানাযায়, একদল দুষ্কৃতী আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে রীতিমতো তান্ডব চালায় মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প ভোরের আলো সংলগ্ন এলাকায়। তবে গোটা ঘটনায় অভিযোগের তীর তৃণমূলের দিকে, স্থানীয়দের মতে তৃণমূলের কর্মীরাই করেছে এই তান্ডব। ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গজলডোবায় ।
- Advertisement -
সুত্রে জানাযায়, সোমবার রাতে ভোরের আলোতে মদ্যপান করে একদল যুবক , তাঁদের স্থানীয়রা বাঁধা দিতে গেলে মদ্যপ অবস্থায় এলাকার এক মহিলা ও ঘোড়া চালকের উপর উপর অত্যাচার চালায় তারা । সেই সময় এলাকাবাসীরা তাদের বাঁধা প্রদান করতে গেলে উল্টে ঘটে আরও বিপত্তি । অভিযোগ, স্থানীয় ওই যুবকরা নিত্যদিন মদ্যপান করেন ওই এলাকায়, মহিলাদের মারধর করে, শ্লীলতাহানিও করে বলে অভিযোগও ওঠে তাদের বিরুদ্ধে, শুধু তাই নয়, মহিলাকে মারধর করার সময় স্থানীয় দোকানদাররা এগিয়ে বাঁচাতে আসার চেষ্টা করলে, তাঁরা জলপাইগুড়ি জেলার তৃণমূলের অন্যতম নেতা তথা জেলা মাইনরিটি সেলের সভাপতি কৃষ্ণ দাসের লোক বলে পরিচয় দিয়ে চলে একের পর এক দোকান ভাঙচুর।
এই খবর ছড়িয়ে পরতেই ঘটনাস্থলে ছুটে আসে মিলনপল্লী ফাঁড়ির পুলিশ, তারপর পুলিশের সাথেও শুরু হয় বচসা, তারপর বচসা গড়ায় হাতাহাতিতে, ঘটনাস্থলে পুলিশের উপরও হামলা চালানোর দৃশ্য দেখলে ওখানকার স্থানীয় এলাকাবাসীরা জোট বদ্ধ হয়ে এগিয়ে আসে, সবাই মিলে তাড়া করে ধরে ফেলে বেশ কিছু তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতিকে, এরপর শুরু হয় গণপিটুনি, এলোপাথাড়ি মারধর করে তাদেরকে পুলিশের হাতে তুলে দেয় স্থানীয় বাসিন্দারা। অভিযোগ স্থানীয়দের পুলিশের উপরও চড়াও হয় কৃষ্ণ দাসের লোকেরা।
এরপর গোটা ঘটনার প্রতিবাদ করে টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা, পর মুহুর্তে ঘটনাস্থলে উপস্হিত হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী, পরিস্থিতি সামাল দেওয়া চেষ্টা করেন তাঁরা,তবে গভীর রাত পর্যন্ত চলে পথ অবরোধ, তবে এই গোটা ঘটনায় সরাসরি তৃণমূলের দিকে অভিযোগ তোলেন বিজেপির কিষাণ মোর্চার জেলা সভাপতি নকুল দাস। তিনি বলেন, ” স্থানীয় বাসিন্দারা আমাদের জানিয়েছেন বারোপেটিয়া এলাকার দাপুটে তৃণমূল নেতা কৃষ্ণ দাসের লোক এরা, এরাই তান্ডব চালিয়েছে। মদ খেতে বাধা দেওয়ায় মহিলাদের শ্লীলতাহানি করেছে। আমরা প্রশাসনের দ্বারস্থ হব। “
এই ঘটনায় কৃষ্ণ দাস বলেন, ” আমি অসুস্থ হয়ে চেন্নাইয়ে চিকিৎসাধীন। এ ব্যাপারে বলতে পারব না “। এদিকে তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি কৃষ কুমার কল্যানী বলেন, ” ভোরের আলোয় কোনও রকম অশান্তি বরদাস্ত করা হবে না। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। আইন আইনের পথে চলবে। “