দ্য এক্সপোস ব্যুরোঃ- বাঘে মানুষে ধস্তাধস্তি, অবশেষে শিকার ফেলে পালালো বাঘ! আবারও বাঘের আক্রমণ মৎস্যজীবীদের ওপরে।
জানা গিয়েছে, সুন্দরবনের বেনিফেলি জঙ্গলের নদীখাঁড়িতে মাছ-কাঁকড়া ধরতে গিয়েছিলেন শংকর সরদার, শ্যামল মন্ডল এবং সুনীল মণ্ডল নামের তিন মৎস্যজীবী। গত শুক্রবার থেকে কোনো বাধা বিপত্তি ছাড়াই কাঁকড়া এবং মাছ শিকার করছিলেন তারা। কিন্তু সোমবার তাদের সেই কাজে বাধা হয়ে দাঁড়ায় জঙ্গলের রাজা। জঙ্গলে যে মানুষের উপস্থিতি রয়েছে তা কোনোক্রমে টের পেয়ে যায় সে, আর তারপরেই শুরু করে নজর রাখা। সোমবার দুপুর বেলা ঘন জঙ্গলের ভেতরে ঘাপটি মেরে বসে সে নজর রাখছিল প্রত্যেকের ওপরে। অবশেষে সুযোগ বুঝে ঝাঁপিয়ে পড়ে মৎস্যজীবীদের নৌকায়। এরপরেই শুরু হয় বাঘে মানুষের লড়াই। কিছু বুঝে ওঠার আগেই সুনীল এবং শ্যামল দেখতে পান শঙ্করের ঘাড় কামড়ে ধরেছে বিশালাকার বাঘ, শুধু তাই নয় শংকরকে টেনে জঙ্গলে নিয়ে যাবার চেষ্টা করছে সে। তবে এই দৃশ্য দেখে ভয় না পেয়ে নিজেদের সঙ্গীকে বাঁচানোর জন্য প্রাণপণ চেষ্টা শুরু করে সুনীল এবং শ্যামল। হাতের সামনে লাঠি, বৈঠা যা পায় তা দিয়েই বাঘকে মারা শুরু করে তারা, এমনকি বাঘের ঘাড়ে বৈঠা দিয়ে কয়েকবার আঘাতও করে তারা। অবশেষে বেগতিক বুঝে শিকার ফেলে জঙ্গলের গভীরে পালাতে বাধ্য হয় বাঘ। তবে ততক্ষণে প্রায় নিস্তেজ হয়ে পড়েছিল শংকর। এরপর শঙ্করের সেই ক্ষত বিক্ষত রক্তাক্ত শরীরকে টেনে নিয়ে কোনোক্রমে নৌকায় তোলে তারা। এরপর গায়ের সমস্ত শক্তি দিয়ে নৌকা চালিয়ে দীর্ঘ নদী পথ অতিক্রম করে অবশেষে তারা এসে পৌঁছায় জেটিঘাটে। এরপর সেখান থেকে অচৈতন্য শংকরকে ভর্তি করানো হয় জয়-নগর কুলতুলি গ্রামীণ হাসপাতালে। কিন্তু সেখানে শংকর এর শারীরিক অবস্থা খারাপের দিকে যাওয়ায় গতকাল রাতেই তাকে কলকাতার পিজি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। বর্তমানে পিজি-তেই চিকিৎসা চলছে শঙ্করের।