হই হই করতে করতে , পাহাড়ের অপরূপ মুগ্ধতা কে উপভোগ করতে তেরো থেকে চোদ্দ জনের একটি দল এসেছিল সিকিমে , কেউ উত্তর চব্বিশ পরগনা থেকে আবার কেউ বা বারাসাত থেকে , একই পরিবারের সদস্য সকলে , মূলত পুজোর ছুটিকে কাজে লাগিয়ে পরিবারের আট থেকে আশি একসাথে বেরিয়ে পড়া ।মজা করতে করতে ওয়েস্ট সিকিমে পৌঁছলে , সোমবার বিকেলে পর্যটক দের দলটি কুলুক এর দিকে রওনা দেয় , দুটো গাড়িতে বিভক্ত হয়ে যান তারা , দুটো জাইলো গাড়ি করে পাহাড়ের বাঁক বেয়ে রেষি বাজার হয়ে বেশ ভালোই যাচ্ছিল , হঠাৎই সব কিছু অন্ধকার , জ্ঞান ফিরলে জানা যায় সব শেষ ।
জানা গিয়েছে , প্রথম গাড়িটি প্রায় কুলুক পৌঁছে গিয়েছে , দ্বিতীয় গাড়িতে চালক ও প্যাসেঞ্জার সহ মোট আট জন ছিল , প্রত্যেকেই প্রায় তন্দ্রাচ্ছন্ন । গাড়ি যখন খাঁদের দিকে গড়িয়ে যাচ্ছে তখন জেগে উঠেছেন , ঘোর কেটে গিয়েছে তুষার বাবু র (তুষার কান্তি পাঠক) , কেউ জীবিত নেই আর , চালক , ভাইপো আর সে রাস্তা থেকে ১৫০ ফিট নিচে খাঁদে গড়িয়ে পড়ে আছেন , চারিদিক অন্ধকার আর মৃত্যুর নিস্তব্ধতা গ্রাস করছে তাদের , তারপর ? তারপর আর কিছু মনে নেই ।
চোঁখের সামনে পরিবারের সকলকে একসাথে মুহূর্তের মধ্যে শেষ হয়ে যেতে দেখলেন , শুধু বেঁচে রইলেন একা , সবাই কে নিয়ে আর হাসি মুখে ঘরে ফেরা হল না। পাঠক পরিবারের সাত জনের মধ্যে পাঁচজন ঘটনা স্থলেই মারা যান , বাকি দুজন তুষার কান্তি পাঠক ও প্রতাপ রঞ্জন বিশ্বাস কে গুরুতর আহত অবস্থায় এলাকাবাসীরা উদ্ধার করে প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গেলে অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানান ডাক্তার রা , মঙ্গলবার তাদের শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় , অপরদিকে ময়নাতদন্তের পর মৃত দেহ কলকাতায় পাঠাবার ব্যাবস্থা করে রাজ্য পর্যটন দফতর ।
2 Attachments