নিজস্ব প্রতিনিধি , গ্যাংটক :-শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মচারীদের বিরুদ্ধে রাজ্যের শিক্ষা দপ্তরের পক্ষ থেকে জারি করা সরকারি নির্দেশ অমান্য করার অভিযোগ উঠলো প্রতিবেশী রাজ্য সিকিমে। করোনা আবহে লকডাউন চলাকালীন রাজ্য জুড়ে যে সমস্ত শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মচারী সরকারি নির্দেশিকা পালন করেন নি তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিকিমের শিক্ষা দপ্তর।
শুক্রবার ২৮ অগাস্ট ওই রাজ্যের শিক্ষা দপ্তরের অতিরিক্ত মূখ্য সচিব জি পি উপাধ্যায় স্বাক্ষরিত একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে যে ১৮ মার্চ সরকারের পক্ষ থেকে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে( মেমো নম্বর – ১৬৪/এসিএস/ইডিএন)সে রাজ্যের প্রতিটি সরকারি স্কুল / কলেজের শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে পরিস্কার ভাবে বলা হয়েছিল যে করোনা মহামারী চলাকালীন সমস্ত শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মচারীকে নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এলাকাতেই থাকতে হবে।দূর্ভাগ্যবশতঃ, সরকারের এই নির্দেশ অমান্য করে লকডাউন চলাকালীন রাজ্য জুড়ে প্রচুর শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মচারী নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এলাকা ছেড়ে অন্যত্র চলে গিয়েছেন।যার জেরে ছাত্রছাত্রীদের অনলাইন এবং অফলাইন পড়াশোনায় ব্যাপক প্রভাব পড়েছে বলে শিক্ষা দপ্তরের জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
- Advertisement -
এই পরিপ্রেক্ষিতে সিকিম শিক্ষা দপ্তরের পক্ষ থেকে নির্দেশ অমান্যকারী শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মচারীদের ১০ দিনের এক্সট্রা অর্ডিনারি লিভ( লিভ উইদাউট পে)দিয়ে তাদের অনুপস্থিতির বাকি দিনগুলো বার্ষিক সরকারি ছুটির দিন থেকে কেটে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সিকিমের শিক্ষা দপ্তরের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব জি পি উপাধ্যায় স্বাক্ষরিত সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে। নির্দেশিকায় এও বলা হয়েছে যে বার্ষিক সরকারি ছুটির দিনের চেয়ে অনুপস্থিতির দিন বেশি হলে সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মচারীদের বেতন থেকে টাকা কেটে নেওয়া হবে।
এদিকে সরকারি এই নির্দেশিকা জারি হতেই একদিকে যেমন কর্মস্থলে ফেরার তোড়জোড় শুরু করেছেন কর্মচারীদের একাংশ তেমনি আবার ছুটি ও বেতন কেটে নেওয়ার সিদ্ধান্তে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মচারী মহলে।