রনজিৎ বোস, শিলিগুড়িঃ– যখন এসএসসি সহ বিভিন্ন দুর্নীতিতে জেরবার রাজ্য, ঠিক সেই সময় শিলিগুড়ি পুরো নিগমের দুর্নীতি ও চুরি রুখতে তৎপর মেয়র গৌতম দেব। শিলিগুড়ি পৌরনিগম কে তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে স্বচ্ছ, দুর্নীতি মুক্ত পৌরনিগম গড়ে তোলার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। শিলিগুড়ি পৌরনিগমের প্রতিটি বিষয়ে কড়া নজরদারি চালাচ্ছে মেয়র নিজে।
পৌরনিগমের অধীনে রয়েছে প্রায় ১৫০টি গাড়ি, তার মধ্যে ১৩০ টি পুর নিগমের নিজস্ব বাকি প্রায় ২০ টি আউটসোর্সিং অর্থাৎ এজেন্সি থেকে নেওয়া। পৌরনিগমের নিজস্ব ১০০টি গাড়িতে ইতিমধ্যেই জিপিএস ট্র্যাকার লাগানো হয়েছে। বাকি গাড়ি গুলিতে আর কিছুদিনের মধ্যে জিপিএস ট্র্যাকার লাগানোর কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে বলে সূত্রের খবর। ইতিমধ্যে এজেন্সিদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাদের গাড়িগুলিতে জিপিএস ট্র্যাকার লাগানোর বিষয়টি।
জিপিএস ট্র্যাকার নজরদারি চালাচ্ছে মেয়র সহ পৌরনিগমের অন্য সকল আধিকারিকরা। একটি গাড়ি সারাদিনে কতক্ষণ চলল, কত কিলোমিটার তার গন্তব্য, কোথায় কতক্ষন দাঁড়িয়ে আছে এবং কত লিটার তেল প্রয়োজন সমস্ত বিষয়টি পৌরনিগমে বসে দেখা যাবে এই ট্র্যাকারের মাধ্যমে। ট্র্যাকার লাগানোর পর ইতিমধ্যেই ৪টি বুলডোজারের হিসাবে গড়মিল পাওয়া গিয়েছে। মেয়রের নির্দেশে তদন্ত শুরু করেছে আধিকারিকরা।
- Advertisement -
উল্লেখ্য, জিপিএস ট্র্যাকার লাগানোর বিষয়ে মেয়র গৌতম দেব জানিয়েছেন, আমাদের কাছে বিস্তর অভিযোগ ছিল গাড়িগুলো ঠিকমতো কাজ করছে না, ফাঁকি দিচ্ছে, এক জায়গায় বসে থাকছে, তেল অপচয় ও হিসাবে গড়মিল করছে। ট্র্যাকার লাগানোর পর আমরা দেখতে পেয়েছি ৪-৫টি গাড়ি হিসাবে গড়মিল করছে। এই বিষয় নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আমি নিজেও মাঝে মাঝে গাড়িগুলির গতিবিধি ওপর নজর রাখছি। এর ফলে যেমন গরমিলমিল বন্ধ হবে ঠিক তেমন ফান্ড লিকেজ (চুরি) বন্ধ করা সম্ভব হবে।