নিজস্ব প্রতিবেদনঃ- হাইকোর্টের নির্দেশ অনুসারে , জাতীয় সড়ক এবং রাজ্য সড়কে চলবে না টোটো। নির্দেশিকা অনেক আগে লাগু হলেও বাস্তবে চিত্রটা ছিল একদমই আলাদা। জাতীয় সড়ক , রাজ্য সড়ক এমনকি এশিয়ান হাইওয়েতেও দাপিয়ে দাপট দেখাচ্ছিল টোটো। খুব সহজ ভাবেই অবরুদ্ধ হয় জন জীবন৷ যত্রতত্র পার্কিং থেকে শুরু করে যেখানে সেখানে টোটো থামিয়ে দেওয়ার বাড়ছিল দুর্ঘটনা। প্রশাসন দেখেও অজানা কারনে চুপ ছিল। ট্রাফিক সিগনাল থাকে শুরু করে পাড়ার মোড় সবতেই টোটোর দাদাগিরি। হাইকোর্টের নির্দেশিকা থাকলেও থামাবার কেউ নেই।
অপরদিকে টোটোর সংখ্যা বাড়ছে দিনের পর দিন। তাদের অবাধে মিলছে নাম্বার প্লেট। তৈরি হয়েছে সংগঠনও। রাজ্যের শাসক দলের নেতা মন্ত্রীদের নামও টোটোর নাম্বার প্লেট কান্ডে উঠে এসেছে একাধিকাবার। কাজেই বুক বাজিয়ে টোটো চালকরা রাস্তা দখল করছে। যানজটের নাভিশ্বাস পরিস্থিতি থেকে শহরবাসীকে রেহাই দিতে একাধিক প্রকল্পের মধ্যে অন্যতম সিদ্ধান্ত রাজ্য থেকে জাতীয় সড়কে টোটো একেবারে নিষিদ্ধ। প্রশাসক মন্ডলীর চেয়ারম্যান গৌতম দেব জানান , হাইকোর্টের অর্ডার অনুযায়ী পুলিশ যা ভালো বুঝবে আইনগত ভাবে সেটাই হবে। যানজট এড়াতে শহরের মধ্যে দিয়ে চলে যাওয়া রাজ্য সড়কে চলবে সিটি অটো। নির্দিষ্ট রুট , স্টপেজ মেনে তা চালানো হবে। পাশাপাশি বেশ কিছু পার্কিং এরিয়া তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে , ফুটপাত দখলকারীদের সাথে কথা বলে তাদেরও একটা বন্দোবস্ত করে দেওয়া হবে।
শিলিগুড়ি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন ও শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাচ্ছে সাধারন মানুষ। ইতিমধ্যেই শহরের রাজপথে সকাল থেকে চলছে ধড়-পাকড়। পুলিশ সুত্রে খবর ইতিমধ্যেই ৫০ টির বেশি টোটো বাজেয়াপ্ত করেছে শিলিগুড়ি পুলিশ। অপরদিকে পুলিশ সুত্রে খবর , জলপাইগুড়ি জেলার নাম্বার প্লেটের গাড়ি সেই জেলার অন্তর্ভুক্ত এলাকাগুলোতেই চলবে। দার্জিলিং জেলার ক্ষেত্রেও একই নিয়ম।
- Advertisement -
অপরদিকে ঘটনাকে কেন্দ্র করে টোটো চালকরা আন্দোলনের পথ বেছে নেনে। টোটো চলাচল বন্ধ শহরে। শিলিগুড়ির বাঘাযতীন পার্ক সংলগ্ন এলাকায় , টোটো থামিয়ে বিক্ষোভ দেখায় তারা। অন্যান্য টোটো চালকদের আটকে রাস্তায় শুয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। তাদের বক্তব্য , সরকারের সাথে এই বিষয় নিয়ে বোঝাপড়া হবে।