দ্য এক্সপোস ব্যুরোঃ- আজ ১০ই এপ্রিল শনিবার, রাজ্যে চতুর্থ দফায় ভোট আর পাশাপাশি কাওয়াখালিতে জনসভা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। এদিনের জনসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কাঠগড়ায় তোলেন প্রধানমন্ত্রী। এদিনের সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন,”বিজেপির পক্ষে জনসমর্থন দেখে দিদি ও তার গুন্ডারা মরিয়া হয়ে উঠেছে। দিদি নিজের পদ হারাচ্ছেন দেখে এই স্তরে নেমে গিয়েছেন।”
আজকের জনসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, রাজ্যে চতুর্থ দফায় ভোট শুরুর আগে থেকেই রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল কোচবিহার। সকাল থেকেই কোচবিহারের বিভিন্ন এলাকা থেকে বিক্ষোভের খবর সামনে আসছে। ইতিমধ্যেই সেখানে বেশ কয়েকজন প্রাণ হারিয়েছেন এবং অনেকে আহত হয়েছে। আর কোচবিহারের এই পরিস্থিতির প্রসঙ্গ তুলে মোদি বলেন, “বিজেপির এত জনসমর্থন দেখে দিদি ও তার গুন্ডারা মরিয়া হয়ে উঠেছে। কুর্সি চলে যাচ্ছে দেখে এই স্তরে নেমেছেন দিদি”। এই ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি,”দিদি ও তৃণমূলের গুন্ডাদের স্পষ্ট করে বলতে চাই, দিদি ও টিএমসির খামখেয়ালিপনা আর চলতে দেব না। আমি নির্বাচন কমিশনকে স্পষ্ট জানিয়েছি, কোচবিহারের ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ যাতে নেওয়া হয়। পাশাপাশি হিংসা ও নিরাপত্তা বাহিনীর উপরে আক্রমণের পরিকল্পনা, ভোটপ্রক্রিয়ায় বাধাদান এসব কিছু আপনাকে বাঁচাতে পারবে না দিদি। আপনার ১০ বছরের কুকর্ম থেকে রক্ষা করতে পারবে না এই হিংসা।”
উল্লেখ্য, আজ শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের। মৃতদের নাম যথাক্রমে- হামিদুল হক, সামিয়ুল হক, মনিরুল হক, নুর আলম। পাশাপাশি সকাল বেলায় রাজনৈতিক সংঘর্ষে মৃত্যু হয় এক যুবকের। ঘটনায় তৃণমূলের দাবি, বিনা প্ররোচনায় গুলি চালিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। পাশাপাশি তৃণমূল নেত্রীর দিকে আঙুল তুলে বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিক বলেন,মমতার উস্কানিমূলক মন্তব্যের জেরেই মাথাভাঙার, শীতলকুচিতে বিশেষ শ্রেণির লোকেরা কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপরে চড়াও হয় এবং উপায় না দেখে কেন্দ্রীয় বাহিনী আত্মরক্ষার্থে গুলি চালাতে বাধ্য হয়।