দ্যা এক্সপোস ব্যুরো :-
২১ সে জুলাই নিয়ে রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলিপ ঘোষ মন্তব্য করেছেন, যারা মূলত শহীদদের রক্তের ওপর দিয়ে হেটে ক্ষমতায় বসেছেন, আজ সেই ক্ষমতাবান ব্যক্তিরাই বাকি মানুষদের শহীদ করে দিচ্ছেন। রাজ্যের কোনো না কোন স্থানে রোজ খুন হচ্ছে মানুষ , প্রতিনিয়তই মারাও যাচ্ছেন । বিশেষ করে সাধারণ মানুষ ও বিরোধি পক্ষের মানুষ সুরক্ষিত নন , তাদের কোনো গণতান্ত্রিক অধিকার নেই। তাই ২১ সে জুলাই এর সভায় প্রহসন দিবস পালন উপলক্ষে তিনি বলেন রাজ্যে যে সকল অনৈতিক কাজ কর্ম হচ্ছে সেগুলি বন্ধ করে দিলে বোঝা যাবে সত্যি সত্যিই গণতন্ত্রের প্রতি ও শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হচ্ছে। আর তা না হলে শহীদদের নিয়ে রাজনীতি করার ও বিরোধীদের শহীদ বানানো এই দুটো কাজ একসঙ্গে কখনই হতে পারে না।
- Advertisement -
মঙ্গলবার নিউটাউনের ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমনের পর ২১ জুলাই নিয়ে রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ এমনটাই জানিয়েছেন, তিনি আরো বলেন , যারা গণতন্ত্র রক্ষার জন্য নিজেদের প্রাণ বিসর্জন দিয়েছেন সে সমস্ত শহীদদের প্রতি তিনি শ্রদ্ধাঞ্জলি জানান। এমন কি যারা প্রাণ দিয়েছেন তারা যেই দলের সদস্য হোক না কেন তাদেরকে দেখে বাংলার মানুষ স্মরণ করবেন । আজকে সমাজের যেরূপ পরিস্থিতি আছে ঠিক ১৯৯৩ সালেও বাংলার পরিস্থিতি এমনই ছিল , কিছু ক্ষেত্রে বরং এখনকার পরিস্থিতি আরও খারাপ বলে জানান তিনি। সেই সময় এক স্থানে পুলিশের গুলি চলেছিল আর এখন সমগ্র পশ্চিম বাংলায় পুলিশের গুলি চলছে। বিরোধীদের জায়গায় জায়গায় মেরে ফেলা হচ্ছে । তাই সেই কারনেই তিনি বলেছেন যদি সত্যিই শহীদদের শ্রদ্ধাঞ্জলি দিতে হয় যিনি শ্রদ্ধাঞ্জলি সভা করছেন তার প্রথম অঙ্গীকার করা উচিত কোনো বিরোধীর গায়ে হাত পড়বে না।
এছাড়াও তিনি বলেছেন, আগে সাত দিন লকডাউন ছিল আর সেই লকডাউন করার ফলের দেশের কতটা লাভ হয়েছে তা ভালো করে পর্যবেক্ষণ করে দেখা হোক। আর তারপরে যদি 2 দিন বা ১ দিনের লকডাউন মানুষ না মানে তাহলে জায়গায় জায়গায় লকডাউন করার নাটক করে কোনো লাভ নেই। এমনকি তিনি বলে মানুষ সংক্রমণের ভয়ে সবরকম নির্দেশ মানতে রাজি আছে। কারণ কোনোরকম সমস্যা না করে প্রথম তিন মাস মানুষ নির্দ্বিধায় নিজেদের বাড়িতেই ছিল । কিন্তু তার কি পরিণাম হয়েছে তা জানতে চেয়েছেন তিনি। এত কিছুর পরেও একদিকে যেমন কমিউনিটি সংক্রমন ছড়িয়ে পড়েছে , তর পাশাপাশি গ্রামে গ্রামেও ছড়িয়ে পড়ছে সংক্রমণ । কিন্তু সেই সংক্রমণ আটকাবার কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা জানতে চেয়েছেন তিনি। সরকার যদি করোনা রুখতে প্রথম দিন থেকে ব্যবস্থা নিত বা সাবধান হত তাহলে রাজ্যে এত পরিমানে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ত না। এখন দিনকেদিন যে পরিমান আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে তা আর কিছুদিন গেলে রীতিমত হাতের বাইরে চলে যাবে বলেও তিনি জানান। অবিলম্বে এই নিয়েই বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বসে আলোচনা করা খুবই প্রয়োজন। লকডাউন হলে যেন পুরোপুরি ভাবে পালন করা হয় তা না হলে এইভাবে অল্প সংখ্যক লোক কষ্ট করবে আর বাকিরা ঘুরে বেড়াবে তা হতে দেওয়া যায় না।