দ্য এক্সপোস ব্যুরোঃ- করোনার দ্বিতীয় থাবায় ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে গোটা দেশ জুড়ে। বিশেষজ্ঞদের তরফ থেকে বলা হয়েছিল, নির্বাচনের প্রচারে বহু মানুষের জমায়েত হওয়ায় সংক্রমণ আরও ব্যাপক ভাবে ছড়াতে পারে। তাই গত রবিবার রাতে তৃণমূল থেকে ঘোষণা করা হয়েছিল কোভিড পরিস্থিতির কারণে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতায় আর জনসভা করবেন না৷ পাশাপাশি ডেরেক ও’ব্রায়েন জানিয়েছিলেন, বাকি যেসব জায়গায় মুখ্যমন্ত্রী সভা করবেন সেখানেও তিনি আধা ঘন্টারও কম সময়ের জন্য বক্তৃতা দেবেন।
সুত্রের খবর, আজ সোমবার উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জের সভায় তৃণমূল সুপ্রিমোর জনসভা ছিল, আর সেখানে তিনি হাতে গুনে মাত্র ১১ মিনিট ১০ সেকেন্ড বক্তৃতা দেন। অনেকের ধারণা যেহেতু জনসভায় অনেক মানুষ ঘেঁষাঘেঁষি করে বসেছিল এবং বেশিরভাগের মুখে মাস্ক ছিল না তাই মুখ্যমন্ত্রী আধা ঘন্টার জন্যেও তার বক্তব্য রাখেননি। এদিন কালিয়াগঞ্জে মুখ্যমন্ত্রী চাকুলিয়া সহ আরও তিনজন প্রার্থীর সমর্থনে সভা করতে এসেছিলেন। চাকুলিয়ার বিধায়ক হলেন ফরওয়ার্ড ব্লকের আলি ইমরান রামজ ভিক্টর। আজকের ১১ মিনিটের জনসভায় মমতা বলেন, ” বামপন্থীদের ভোট দিয়ে কোনো লাভ নেই, এখানে সিপিএম, কংগ্রেস সব বিজেপির দালালি করছে। ওদের ভোট দেবেন না”। উল্লেখ্য, ২০১৯-এর লোকসভার ধাক্কার ছমাসের অক্সিজেন জুগিয়েছিল এই কালিয়াগঞ্জ। লোকসভার প্রায় হাফ লাখ ভোটে পিছিয়ে থাকা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে বিপুল জয় পেয়েছিল তৃণমূল। যদিও সেই সময় ওই জয়ের পেছনে ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু এবারে আর শুভেন্দু অধিকারী নেয় ফলে দেখার বিষয় হলো এবারে নির্বাচনের ফল কী হয়!
বিশেষজ্ঞদের দেশে করোনার মাত্রাতিরিক্ত সংক্রমণের পেছনে রয়েছেন মানুষের অসচেতনতা,মাস্ক ব্যবহার না করা, স্যানিটাইজার ব্যবহার না করা, দূরত্ব বজায় না রাখা। ফলে বারংবার বলা হচ্ছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে, আর সেই জন্য নেতাদের প্রচার ও জনসভা কোভিড বিধি মেনে করতে বলা হচ্ছে। কারণ এখন যদি শক্ত হাতে হাল ধরা না হয় তাহলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে।