নিজস্ব প্রতিনিধি , শিলিগুড়ি , ১৯ ডিসেম্বর :-প্যাকেটের দুধ কতটা নিরাপদ ? ভেবে দেখেছেন কখনো ? কি পান করছেন আপনি ও আপনার পরিবার ? মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় অধিক ব্যাবহৃত পণ্য দুধ , তা নিরাপদ কিনা তা একবার ভেবে দেখুন তো। উনুনে বসাবার পরই যদি দুধ কেটে যায় বা নষ্ট হয়ে যায় তাহলেই আপনি ভাবেন যে আপনাকে দোকানদার ঠকিয়ে দিয়েছে , পুরোনো দুধের প্যাকেট নতুন বলে চালিয়ে দিয়েছে , সবার আগে আপনার কেনা প্যাকেটে একবার ভালো করে চোখ বুলিয়ে দেখে নিন কোথাও ম্যানুফ্যাকচার ডেট বা কবে তৈরি হয়েছে তা লেখা কি রয়েছে ? না কোথাও তা আপনি খুঁজে পাবেননা , লেখা রয়েছে আপনি কবে পর্যন্ত এই দুধ ব্যাবহার করতে পারবেন , ইউজড বাই ডেট বলে একটি কথা লেখা রয়েছে এবং তার পাশে আগামী দু’তিন দিন পরের তারিখ লেখা রয়েছে । ঠিক এমনটাই অভিযোগ উঠে আসে শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের অন্তর্গত আমবাড়ি থেকে । অভিযোগটি দায়ের করেছেন ঐ এলাকারই বাসিন্দা রথীন সরকার, পেশায় তিনি চা বিক্রেতা। চা তৈরি করবার জন্য তিনি পাশের দোকান থেকে এরিস কোম্পানির দুধের প্যাকেট কিনে নিয়ে আসেন । হঠাৎই মনের খেয়ালে সেদিন প্যাকেট উল্টে পাল্টে দেখতে গিয়ে দেখেন সেখানে আগামীদিনের তারিখ দেওয়া তবে সেখানে উধাও ম্যানুফ্যাকচার ডেট । তাহলে কি করে এবং কতদিন সেই প্যাকেট ব্যাবহার করা যাবে তার হদিশ দেবে কে ?
পণ্যটি কবে তৈরি করা হয়েছে তার কোন প্রমাণ নেই , এ বিষয়ে এরিস দুধ কোম্পানির সেলস ম্যানেজার জানান , আমরা ইউজড বাই ডেট কথাটি ব্যাবহার করি , তৈরি করবার তারিখ ব্যাবহার করা হয়না । কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, কাস্টোমারের সুবিধের জন্য আমরা আগামিকালের তারিখ ব্যাবহার করে থাকি, এর থেকে বেশিদিন হয়ে গেলে সেটা ব্যাবহারের অযোগ্য। তাহলে তৈরী করবার তারিখ কোথায়? জবাব দিতে না পেরে শুধু বলেন না আমরা তৈরী করবার তারিখ লিখিনা। কেন লেখেননা? এ বিষয়ে রাজগঞ্জ বিডিও এন সি শেরপা বলেন, যেকোনো ফুড প্রোডাক্টে ম্যানুফ্যাকচার ডেট ব্যাবহার করা আবশ্যক। তার নজরে বিষয়টি ছিলনা, আমাদের কাছ থেকে জেনে বিডিও অফিসের ফুড আধিকারিককে বিষটি দ্রুততার সঙ্গে সমাধান করতে বলেন। সাফ জানিয়ে দেন শিশু খাদ্য নিয়ে কোন প্রকার ছেলেখেলা চলবেনা।