ঋষি চ্যাটার্জী , ফাঁসীদেওয়া :- দীপাবলি মানেই চারিদিকে রংবেরংয়ের আলোয় আলোকিত হয় চারদিক , তার মধ্যে অন্যতম উপকরণ আতসবাজি । রং মশাল , তুবড়ি , ফুলঝুড়ি সহ হরেক রকমের রকমারি নিয়ে বছরের পর বছর শহর ও শহরতলি সহ গোটা উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় দীপাবলির আগে পৌঁছে যায় । শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের অন্তর্গত ফাঁসীদেওয়া ব্লকের বাজি কারখানায় এই মুহূর্তে কর্মীদের ব্যাস্ততা তুঙ্গে থাকলেও আবহাওয়ার সাথে তাল মিলিয়ে উঠতে পারছেননা তারা । কখনো রোদ , কখনো বৃষ্টি আবার কখনো মুখ বুজে রয়েছে আকাশ ফলে একপ্রকার বেশ বেগ পেতে হচ্ছে কর্মীদের । গত বছরের তুলনায় এ বছর প্রডাকশন অনেক কম , চাহিদা থাকলেও যোগান সম্ভব হচ্ছেনা ।
পরিবেশের কথা মাথায় রেখেই চলছে আতসবাজির কাজ , সারা বছর যারা কৃষি কাজে যুক্ত থাকেন তারাই বছরের এই সময় তৈরি করেন বাজি । জায়গার একটা সমস্যা রয়েই গিয়েছে , তাদের বক্তব্য কারখানার আশেপাশে সরকারি অনেক ফাঁকা জমি পরে রয়েছে , সেই জমি ব্যাবস্থার করার অনুমতি মিললে বাড়বে কর্মসংস্থান । এই মুহূর্তে দশ থেকে পনেরোজন কর্মী কাজ করছে , কিন্তু জায়গার অভাবে চাহিদা অনুযায়ী যোগান সম্ভব নয় ফলে অতিরিক্ত কর্মীও নিয়োগ করা সম্ভব হচ্ছেনা । সারা বছর কৃষি কাজের পাশপাশি বছরের এই সময় বাজির কাজ করে আয় বেশ ভালোই কিন্তু আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনার জন্য এবছর বাজার এক প্রকার মন্দ । বাজারে হরেক রকমের বাজি রয়েছে , দূর রাজ্যের থেকেও আসছে বাজি , কিন্তু যারা পরিবেশের কথা মাথায় রেখে ছোট জায়গাতেও কর্মস্থানের যোগান দিচ্ছে , তাদের দিকেও সরকারের দেখা উচিত ।