দ্যা এক্সপোস ব্যুরো :-
দু মাস আগে সুন্দরবনের হেমনগর কোস্টাল থানার পুলিশ ফারুক মোল্লা , ইউসুফ মোল্লা নামে দুজন জলদস্যুকে গ্রেফতার করেছিল । এরপর তাদেরকে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে পর কিছু গোপন তথ্য জানতে পারে পুলিশ। জানা যায়, কালিন্দী রায়মঙ্গল নদীতে প্রায়শই মৎস্যজীবীদের নৌকো লুটপাট ও তাদের মারধোর, অপহরণ,ও মুক্তিপণ চাওয়ার পিছনে ছিলেন এই দুষ্কৃতীরা। এমনকি মুক্তিযুদ্ধের জন্য সাত লক্ষ টাকার মুক্তি পন পর্যন্ত চেয়েছিল এই দুষ্কৃতীরা। আর এইসব কাজের মূলে ছিল আন্তর্জাতিক জলদস্যুর মূল মাথা জনাব বাইন। এর নির্দেশেই সীমান্ত নদীগুলোতে দিন প্রতিদিন জলদস্যুদের প্রভাব ও প্রতিপত্তি বৃদ্ধি পাচ্ছিল , আর এইসব কিছুই জনাবের কথা মত মৎস্যজীবীদের ওপর হামলা চালাতেন জলদস্যু বাহিনী।
এই খবর পাওয়া মাত্রই জনাবের মোবাইল ট্র্যাক করেন বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলা কালিগঞ্জ থানার পুলিশ আধিকারিকরা। আর এই বিষয়ে সম্পূর্ণ বিষয়টি জানার পর বাংলাদেশ পুলিশ এপারের রাজ্য বসিরহাট প্রশাসনকে সতর্ক করে।
- Advertisement -
জানা গিয়েছে এই জলদস্যু জনাবের বাড়ি বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলায়। বসিহাট পুলিশ তদন্ত করে জানতে পারে জনাব বাংলাদেশি ও ভারতীয় জলদস্যুদের নিয়ে যৌথ ভাবে তৈরি করে জনাব বাহিনী নামে একটি গ্যাং তৈরি করেছেন । যা আন্তর্জাতিক জনাব গ্যাং বলেও পরিচিত। গত রবিবার বসিরহাট থানার পুলিশ গোপনে ধলতিথা গ্রাম থেকে জনাব বাহিনীর মূল পান্ডা জনাব বাইন কে গ্রেফতার করেন । এরপর তাকে বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে থাকার নির্দেশ দিয়েছে।
এর পাশাপাশি শুধুমাত্র এই জনাবকে ধরেই থেমে নেই বশির হাট পুলিশ , তারা এই জনাবের পেছনে আরো কোন আন্তর্জাতিক দুষ্কৃতীদের হাত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছেন । এছাড়াও এই জনাব গ্যাং এর বাকি সদস্যদের খুঁজে বার করার চেষ্টা করছেন পুলিশ।