দ্য এক্সপোস ব্যুরোঃ- আবারও পাশবিক ঘটনার সাক্ষী বাংলা! গণধর্ষণের শিকার এক নাবালিকা। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ধুপগুড়িতে।
জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ির, ধুপগুড়ি ভেমটিয়া এলাকার। নাবালিকার পরিবারের অভিযোগ, গত সোমবার প্রায় ৭ থেকে ৮ জন যুবকের লালসার শিকার হয় ওই নাবালিকা। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনার পর তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। এরপর গোটা বিষয়টি তার পরিবারের লোকেরা জানতে পারায়, তারা তড়িঘড়ি পুলিশের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়, কিন্তু গ্রামের মোড়ল ও অভিজ্ঞ ব্যক্তিরা তাদেরকে বাঁধা দেয়। নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগ, গ্রামের সকলে পুলিশকে জানানোর পরিবর্তে তাদেরকে সালিশি সভা করে গোটা বিষয়টি মিটমাট করে নেওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু নির্যাতিতার শারীরিক অবস্থার ক্রমশ অবন্তি হওয়ার তাকে প্রথমে ভর্তি করানো হয় ধুপগুড়ি গ্ৰামীণ হাসপাতালে এবং সেখানে পর্যাপ্ত চিকিৎসার সুবিধা না থাকায়, নাবালিকা মেয়েটিকে নিয়ে যাওয়া হয় জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালে। এরপর সেখানে গিয়ে নির্যাতিতার শারীরিক পরীক্ষা করতেই প্রকাশ্যে আসে গোটা ঘটনা। এই মুহুর্তে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালেই
ভর্তি নাবালিকা।
উল্লেখ্য, জানা গিয়েছে, নাবালিকা মেয়েটির সাথে করা এই পাশবিক নির্যাতনের পেছনে হাত রয়েছে সোহেল আলম নামের একটি যুবক ও তার সঙ্গীদের। কারণ সোহেলের কথোপকথনের একটি অডিও ক্লিপ প্রকাশ্যে এসেছে যেখানে সে নিজেই স্বীকার করছে সে একা হয় তার সাথে আরও ৭-৮ জন এই ঘটনার সাথে জড়িত। তবে এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট ভাবে কিছু জানা যায়নি। এই মুহুর্তে গোটা বিষয়টিই তদন্ত সাপেক্ষ।