বিবেক সিংহ, মালদাঃ- ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার নাম করে পঞ্চম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে বিহার সীমান্তবর্তী এলাকার একটি পাট খেতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করল তারই এক প্রতিবেশী। রোমহর্ষক এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা গ্রামে।
জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের ভাটল গ্রামে। অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম সন্তোষ গোস্বামী ওরফে টিকিয়া(৩৮)। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, ভাটল গ্রামেরই বাসিন্দা নাবালিকা মেয়েটিকে ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার নাম করে বিহার সীমান্তবর্তী এলাকার একটি পাট খেতে নিয়ে যায় অভিযুক্ত। এরপর মেয়েটির ওপর বেশ কয়েকবার শারীরিক নির্যাতন করার পর, তাকে ওই পাট খেতে ফেলে রেখেই ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দেয় সন্তোষ গোস্বামী। এরপর স্থানীয় কিছু বাসিন্দা পাটখেতে মেয়েটিকে পড়ে থাকতে দেখে তড়িঘড়ি তার পরিবারকে খবর দেয়। খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে ছুটে যায় নাবালিকার পরিবার, এবং এরপরেই তাদের চোখে পড়ে ভয়াবহ দৃশ্য, পাট ক্ষেতের মধ্যে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে তাদের বাড়ির মেয়ে। এই দৃশ্য দেখা মাত্র স্বাভাবিকভাবেই কষ্টে যন্ত্রণায় ভেঙে পড়ে মেয়েটির পরিবার। দ্রুত খবর দেওয়া হয় হরিশ্চন্দ্রপুর থানা পুলিশকে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি দেওদূত গজমের সহ আরও অন্য সকল কর্মীরা। পুলিশের তত্ত্বাবধানে ওই রক্তাক্ত নাবালিকাকে হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপরেই অভিযুক্ত ওই যুবকের খোঁজে এলাকাজুড়ে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ।
উল্লেখ্য, অভিযুক্তের মোবাইল নাম্বার ট্র্যাক করে শুরু হয় তল্লাশি। শেষমেষ বাংলা বিহার সীমান্তবর্তী অঞ্চল থেকে গ্রেপ্তার করা হয় অভিযুক্ত যুবককেটিকে। পুলিশের জেরার মুখে পড়ে যুবকটি স্বীকার করে, সেই মেয়েটিকে ধর্ষণ করেছে এবং সে বিহারের দিকে পালাতে চাইছিল।
প্রসঙ্গত, ধর্ষিতা নাবালিকার মা জানিয়েছেন, ধৃত যুবকটি সম্পর্কে তার দেওর হয়। তাই সে যখন আমাদের মেয়েকে ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে তখন আমাদের কোনো সন্দেহ হয়নি। কিন্তু বাড়ি থেকে বেরোনোর কিছুক্ষণ পরেই মেয়েকে ভয়াবহ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। নির্যাতিতা মেয়েটির মায়ের দাবি, যেন অভিযুক্ত ওই যুবককে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হয়। পাশাপাশি কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান নুর আজমও জানিয়েছেন, “ঘটনাটি খুবই দুঃখের এবং লজ্জার, আমরা মেয়েটির পাশে আছি এবং অভিযুক্তকে যেন
আইনের মাধ্যমে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হয় সেদিকেও আমরা লক্ষ রাখব।