দ্য এক্সপোস ব্যুরোঃ- বর্ধমানের রাজ কলেজের একজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠায় তাকে ও তার স্ত্রী-কে গ্রেপ্তার করে পুলিস, পাশাপাশি অভিযোগকারীদের বিরুদ্ধেও শ্লীলতাহানির পাল্টা অভিযোগ আসায় তাদেরকেও গ্রেপ্তার করে পুলিস। জানা গিয়েছে, যে ছাত্রী শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছে তার বাবা বর্ধমানের এক টেকনিক্যাল কলেজের একজন অধ্যাপক। তাদের বাড়ির বর্ধমান শহরের টাউনহল পাড়ায়। আর যেই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে তিনি বর্ধমানের রাজ কলেজের একজন শিক্ষক এবং তার বাড়ি বর্ধমান শহরের ইন্দ্রকানন এলাকায়। পুলিস সুত্রে জানা গিয়েছে, করোনার সময় অনলাইনে ক্লাস চলাকালীন ওই শিক্ষক কলেজের প্রথমবর্ষে ভর্তি হওয়া ওই মেয়েটির হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বার নেন এবং তার সাথে যোগাযোগ করেন। মাঝে মধ্যেই ওই শিক্ষক ছাত্রীর সাথে হোয়াটসঅ্যাপে চ্যাট করতেন, ছাত্রীটিও পড়াশোনার ব্যাপারে নানারকম প্রশ্ন ওই শিক্ষককে জিজ্ঞেস করত। এভাবে কিছুদিন চলার পর গত রবিবার রাতে ওই শিক্ষক ছাত্রীকে ফোন করে জানা সোমবার তিনি তার বাড়িতে আসবেন। নিজের কথামতো সোমবার ওই শিক্ষক সকাল ১০ টা নাগাদ তাদের বাড়িতে যান। বাড়িতে যাওয়ার পর তিনি ওই ছাত্রীর বাবা ও মায়ের সাথে বেশ কিছুক্ষণ গল্পও করেন এরপর ওই ছাত্রীর বাবা কলেজে চলে গেলে ওই শিক্ষক সুযোগ বুঝে ছাত্রীর মায়ের রক্তচাপ মেপে দেওয়ার অজুহাতে, তার সঙ্গে কুরুচিকর আচরণ করার চেষ্টা করেন এমনকি তিনি ওই ছাত্রীর সাথে জোরজবরদস্তি করার চেষ্টা করেন। এমনটাই অভিযোগ তুলেছেন ওই ছাত্রী ও তার মা। এছাড়াও পুলিসের কাছে ওই ছাত্রী ও তার মা জানান, ওই শিক্ষক তাদেরকে অশালীন প্রশ্ন করেন এবং নানারকমের কুপ্রস্তাব দেন ও কিছুক্ষণ পর তিনি নিজের বাড়িতে চলে যান। ঘটনাটি ঘটে যাওয়ার, প্রায় ১ দিন পর ওই ছাত্রী ও তার বাবা, মা ওই কলেজ শিক্ষকের বাড়িতে যান এবং সেখানে গিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। সেইসময় ওই শিক্ষক ওই ছাত্রীকে মারধর করে বলেও অভিযোগ উঠেছে। এই ব্যাপারে রাজ কলেজের শিক্ষক ওই ছাত্রী ও দম্পতির বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ আনে। তার বক্তব্য, ওই দম্পতি তার বাড়িতে এসে তাকে ও তার স্ত্রীকে মারধোর করে। এমনকি ছাত্রীর বাবা ওই শিক্ষকের স্ত্রীকে শ্লীলতাহানি হুমকি পর্যন্ত দেন বলে জানান তিনি। ঘটনায় দুই পক্ষের অভিযোগ শুনে পুলিস আসল অপরাধী কে তা বিচার করতে না পাড়ায় দুই পক্ষকেই গ্রেপ্তার করে। পরবর্তীতে ধৃতদের আইনজীবীরা আদালতে জানান, দুই পক্ষের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি থেকে এইরকম এক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এমনকি অভিযুক্তরাও তাদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি মিটিয়ে নিলে পুলিস দুই পক্ষের বক্তব্য শুনে তাদের জামিনও দিয়ে দেয় বলে জানা গিয়েছে।