দ্য এক্সপোস ব্যুরোঃ- একজন স্কুলের প্রধান শিক্ষকের ওপরে অভিযোগ উঠেছে সহ শিক্ষিকার সাথে অপ্রীতিকর আচরণের। ঘটনাটি ঘটেছে রাজ কলেজিয়েট হাইস্কুলে। ওই স্কুলের একজন সহ শিক্ষিকা অভিযোগ করেছেন, স্কুলের প্রধান শিক্ষক তার সাথে অশ্লীল আচরণ করেন, তার ঘরে গেলে তাকে নানারকম অপ্রীতিকর কথা বলে অপমান করেন এমনকি তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের করারও চেষ্টা করেন। দিনের পর দিন এভাবে চলতে থাকায় শেষে ওই শিক্ষিকা বাধ্য হয়ে বর্ধমান মহিলা থানা অভিযোগ দায়ের করেন। প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি ও ভীতি প্রদর্শনের ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।যদিও সহ শিক্ষিকার এইরকম অভিযোগ পুরোপুরি অগ্রাহ্য করেছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুব্রত মিশ্র। তিনি এই ব্যাপারে জানান, “ওই শিক্ষিকা কোনোদিনও সঠিক সময়ে স্কুলে আসতেন না, এই নিয়ে তাকে অনেকবার সাবধানও করা হয়েছে কিন্তু তবুও তিনি স্কুলের নিয়ম মেনে চলতেন না।” প্রধান শিক্ষকের তরফ থেকে এইসকল কথা পরিপ্রেক্ষিতে মহিলা থানার একজন অফিসার জানান,” আপাতত কেস রুজু করা হয়েছে। নিয়ম-মাফিক স্কুলে গিয়ে সমস্ত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সাথে কথাও বলা হয়েছে। ঘটনার সত্যতা যাচাই করে আইনমাফিক যা ব্যাবস্থা নেওয়ার তাই নেওয়া হবে।”
প্রধান শিক্ষকের এইসকল মন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে সহ শিক্ষিকা বলেন, ২০১৯ সালের জুলাই মাসে তিনি এই স্কুলে একজন আসেন এবং স্কুলে আসার ঠিক কিছুদিন পরেই প্রধান শিক্ষক তাকে নানা অছিলায় তার ঘরে ডেকে তার সাথে অশ্লীল আচরণ করতেন শুধু তাই নয় তিনি নানারকম নোংরা কথা বলে তাকে উত্ত্যক্তও করতেন। অবশেষে গত ১৮ই ডিসেম্বর প্রধান শিক্ষকের ঘরে গেলে তিনি তার সাথে প্রচন্ড দুর্ব্যবহার করেন, এমনকি তাকে সার্ভিস বুক নষ্ট করে দেওয়ারও ভয় দেখান, এই নিয়ে শিক্ষিকা প্রতিবাদ করতে চাইলে তখন তাকে হুমকিও দেন প্রধান শিক্ষক। কেরিয়ায়ের ক্ষতি ও আরও অন্যান্য কারণ নিয়ে শিক্ষিকাকে মানসিক ভাবে অত্যাচার করলে ওই শিক্ষিকা অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল কিছুদিন তার চিকিৎসাও চলে। এভাবে হেনস্থা ও মানসিক অত্যাচারের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। যদিও প্রধান শিক্ষক এসকল অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি জানান। এমনকি স্কুলের পরিচালন সমিতির সরকারি প্রতিনিধি সমরজিৎ দাস জানান, ওই শিক্ষিকার আচার ব্যাবহার নিয়ে স্কুলের অন্যান্যদের মধ্যে যথেষ্ট ক্ষোভ রয়েছে।