নিজস্ব প্রতিনিধি, দার্জিলিংঃ- ২০১২ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় প্রথম নির্বাচন হয় গোর্খা টেরিটোরিয়্যাল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের, সেই সময় বোর্ড গঠন করেন বিমল গুরুংয়েরা। ২০১৭ সালে সেই বোর্ডের মেয়াদ শেষ হলে আগুন জ্বলে পাহাড়ে। তারপর থেকে জিটিএ তে বদল হয়েছে শুধুমাত্র প্রশাসক। দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে শুধুমাত্র প্রশাসক নিয়োগের মাধ্যমেই চলছে জিটিএ। দ্বিতীয় বছরের জিটিএ নির্বাচন হলেও এ বছরই নির্বাচনের নিয়ম-শৃঙ্খলা বা প্রতিদ্বন্দিতায় নির্বাচন হতে চলেছে।
জিটিএ নির্বাচন মূলত হামরো পার্টি ও ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার লড়াই হলেও নির্দল প্রার্থীদের ভার ভাবাচ্ছে। ৪৫ টি আসনে ১৮৭ জন নির্দল প্রার্থী। শুধুমাত্র হামরো পার্টির ৪৫ টি আসনে নিজেদের প্রার্থী রয়েছে। ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা ৩৬ টি আসনে প্রার্থী দিলেও বহু জায়গায় নির্দলদের সমর্থন করছে। অন্যদিকে তৃণমূলের রয়েছে ১০ টি আসন।
ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা এবং তৃণমূল যে এক হয়ে লড়বে সেই চিত্র প্রথম থেকেই পরিষ্কার ছিল। মনোনয়নের সময় অজয় এডওয়ার্ড এ নিয়ে প্রকাশ্যে বক্তব্যও রাখেন। তবে ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চারা বা তৃণমূল মানতে নারাজ। তাদের কথায় কোন এক হয়ে লড়া নয়।
ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার সাধারন সম্পাদক অমর লামা জানান , “বোর্ড আমরাই গঠন করব। ৩৬ টি আসনে প্রার্থী দিলেও বাকি আসন গুলোতে আমরা নির্দলদের সমর্থন করছি।”
- Advertisement -
অপরদিকে হামরো পার্টির মুখ্য প্রবক্তা প্রমস্কর ব্লন জানান, “জয় নিশ্চিত, নির্দলদের নিয়ে কোন চাপ নেই। নিঃশব্দে মানুষ ভোটদান করবে।”
তবে জিটিএ নির্বাচনে কাকে সাপোর্ট করবে দল এমন বক্তব্য বিমল গুরুং রাখলেও কোন আওয়াজ নেই আজকের তারিখে। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সাধারন সম্পাদক রোশন গিরি জানান, “আমি বা বিমল গুরুং কেউ ভোট দেব না জিটিএ নির্বাচনে, আমরা এর বিরুদ্ধে। দলের কর্মী সমর্থকেরা দেবে কী দেবে না সেটা তাদের ব্যক্তিগত বিষয়। কিন্তু আমরা ভোট দেব না।”
সুত্রের খবর, বিমল গুরুংরা তাদের নিজেদের দল থেকে যে বা যারা নির্দল প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছেন তাদের সমর্থন করছেন তবে প্রকাশ্যে তা বলছেন না। তবে বিগত নির্বাচন গুলোর মত এবারও নির্দল প্রার্থী ভার গোর্খা টেরিটোরিয়্যাল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনেও।