নিজস্ব প্রতিবেদনঃ- অরিজিন আফ্রিকার হলেও বছরের পর বছর ধরে জঙ্গল এবং একটু গাছপাল রয়েছে যে পরিবেশে সেই সকল অঞ্চলে নাইরোবি ফ্লাইয়ের দেখা পাওয়া যায়। মূলত বর্ষাকালেই এই পতঙ্কের প্রাদুর্ভাব বাড়ে। বর্ষার শুরু থেকেই প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত বৃষ্টি হয়েছে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়। কাজেই নাইরোবি ফ্লাই বা অ্যাসিড পোকার সংখ্যা বেশ বেড়েছে। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে ভাবে আক্রান্তের সংখ্যা বা আতঙ্ক তৈরি হয়েছে এই পোকাকে কেন্দ্র করে তা আদেও ততটা নয়৷ তবে এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ফলেই মানুষের মধ্যে সচেতনতা এ সব ক্ষেত্রে অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানাচ্ছেন ডাক্তাররা। আগে ছোট খাটো জায়গায় পোকা কামড়ালে সাধারণ মানুষ তেমনটা গুরুত্ব না দিলেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের আতঙ্কের ফলে মানুষ গুরুত্ব দিচ্ছে।
শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালের চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার কুনাল রায় জানান , “এই পোকার আক্রমন আগেও হয়েছে , তবে তেমনটা গুরুত্ব সহকারে মানুষ দেখে নি। এবছর একটু কিছু হলেই মানুষ হাসপাতালে আসছে। হাসপাতালের বহির্বিভাগে তিনশো থেকে চারশো রোগী থাকলে তারমধ্যে একশোজন রোগী এই পোকায় আক্রান্ত। কারও খুবই মৃদু আবার কারও চোখ বা মুখ মন্ডলে লেগে অস্বাভাবিক পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে , তবে তার সংখ্যা খুবই কম। খুবই সামান্য কয়েকটি ঔষধেই মিলছে উপশম। তবে যেহেতু এবার সংখ্যায় অনেক বেশি সেক্ষেত্রে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। সন্ধ্যের পর বাড়ির দরজা জানালা বন্ধ করতে হবে , বিছানা ঠিক ভাবে ঝেড়ে মশারী টাঙ্গিয়ে শুতে হবে৷ স্টেরয়েড জাতীয় এক দুটি মলমেই দিন সাতেকের মধ্যে এ-র সমস্যার সমাধান হয়ে যায়।”
অন্যদিকে পতঙ্গ বিশেষজ্ঞ তথা শিলিগুড়ি কলেজের অধ্যাপিকা দিপাঞ্জাপনা মজুমদার জানান , “ছোটবেলা থেকেই এই পোকা আমাদের সাথে আছে , এটি কখনো অ্যাসিড পোকা বা টেকনিক্যাল পোকা নামে পরিচিত। এবার বর্ষায় এ-র সংখ্যা বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে৷ তবে সবথেকে ভালো উপায় এটি গা থেকে আলতো করে ঝেড়ে ফেলা , কারন পোকাটি কামড়ায় না। হঠাৎ করে ফেলতে গিয়ে সেটি শরীরের মধ্যে লেগে যায় এবং অ্যাসিড রিয়্যাকসন হয়। এটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেই আরও বড় করে তোলা হচ্ছে।”