এক্সপোস ডেস্ক , কলকাতা :- একের পর এক অঙ্গদানে নজির গড়ছে মহানগর , মধ্য রাতেই তৈরি হচ্ছে গ্রিন করিডর । বাইপাসের ধারে আর এন টেগোর হাসপাতাল থেকে কিডনি অ্যাম্বুলেন্সে করে পুলিশি তৎপরতায় মধ্যরাতেই তৈরি হওয়া গ্রিন করিডরের মাধ্যমে এসে পৌছায় ভবানিপুরের এসএসকেএম হাসপাতালে , শুরু হয় অস্ত্রোপচার ।
বছর ষাটের মহাদেব মণ্ডল মস্তিকে রক্ত ক্ষরণ নিয়ে আর এন টেগোর হাসপাতালে ভর্তি হন , দক্ষ চিকিৎসকদের অধীনে অস্ত্রোপচার হলেও মস্তিকে সাড় ফেরেনি , কোমায় চলে যান মহাদেব বাবু , অতঃপর ডাক্তাররা ব্রেন ডেথ ঘোষণা করেন । এরপরই মহাদেব মণ্ডলের পরিবারের কাছে চিকিৎসকরা অঙ্গদানের প্রস্তাব রাখেন , প্রথমে নিমরাজি হলেও পড়ে একটু বোঝানোতেই রাজি হয় তার পরিবার । তড়িঘড়ি স্বাস্থ্য দফফরের সাথে কথা বলে রাতেই প্রয়োজনীয় কাজকর্ম সেরে ফেলার সিধান্ত নেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ । বয়স জনিত কারণে মহাদেব বাবুর হৃদযন্ত্র এবং লিভার প্রতিস্থাপন করা সম্ভব হয়নি , কিন্তু দুটো কিডনি প্রতিস্থপন যোগ্য । যা রাতেই গ্রিন করিডরের মাধ্যমে এসে পৌছায় এসএসকেএম হাসপাতালে , সেখানে ৬৩ বছর বয়সী এক ব্যাক্তির শরীরে প্রতিস্থাপন হয়েছে ।
- Advertisement -
মৃন্ময়ের হৃদয়ে অঞ্জনার স্পন্দন , বিভিন্ন মানুষের মধ্য দিয়ে মৃত্যুর পর শুরু হল এক নতুন অধ্যায়
একই সপ্তাহে দুজন ব্যাক্তির অঙ্গদানে একাধিক মানুষ প্রাণে বাঁচলেন । মঙ্গলবার জোকার বাসিন্দা অঞ্জনা ভৌমিকের ব্রেন ডেথের পর অঙ্গদানের সিদ্ধান্ত নেন তার পরিবার , হৃদযন্ত্র , লিভার , কিডনি , ত্বক , চোখ দান করা হয় তার । অঞ্জনা দেবীর অঙ্গে প্রাণ ফিরে পান চারজন । বৃহস্পতিবার সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তিতে প্রাণ ফিরে পাবেন দুজন । চিকিৎসকদের মতে , অনুপ্রেরণা বা সচেতনাতা যাই হোকনা কেন দুর্ঘটনা বা অকাল মৃত্যুতে রাজ্য অঙ্গদানের প্রবনতায় নজির গড়ছে । প্রাণ ফিরে পাচ্ছে মুমূর্ষ রোগীরা যা খুবই ইতিবাচক ।
নাবালিকার সাথে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস, ধর্ণায় বসলে নাবালিকাকে বেধড়ক মার পুলিশের