দ্য এক্সপোস ব্যুরোঃ- রাজ্যে বিজেপির শীর্ষনেতাদের মধ্যেই একজন ছিলেন সৌমিত্র খাঁ। তিনি ছিলেন বিজেপির যুব সভাপতি। কিন্তু আজ বুধবার আচমকাই যুব সভাপতি পদ থেকে ইস্তাফা দেন তিনি। আর এরপরই দিলীপ ঘোষ ও শুভেন্দু অধিকারীকে তীব্র আক্রমণ করেন সৌমিত্র। পদত্যাগের পরপরই দলের মুখপাত্রদের তুলোধনা করায় অবাক হয়েছেন অনেকেই।
সুত্রের খবর, আজ পদত্যাগ করার পরপরই সৌমিত্র খাঁ বলেন, “দল এককেন্দ্রিক তথা একমুখী হয়ে যাচ্ছে। শুধু অধিকার অধিকার,অধিকারী,অধিকারী চলছে। বারবার দিল্লি গিয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের ভুল বোঝাচ্ছেন একজন”। এখানে তিনি শুভেন্দু অধিকারীর ওপরে থাকা ক্ষোভ রীতিমতো উগড়ে দিয়েছেন। এদিন বিষ্ণুপুরের সাংসদ বলেন, “বিরোধী দলনেতা নিজেকে বিরাট করে জাহির করছেন, যখন তৃণমূলে ছিলেন তখনও নিজেকে বিশাল কিছু মনে করতেন। মনে হচ্ছে দলে শুধু ওঁরই অবদান রয়েছে, আমাদের কোনও ত্যাগ নেই। নতুন নেতা হঠাৎ করে এসে যেভাবে দিল্লির নেতাদের ভুল বোঝাচ্ছে, তাতে গোটা দল একটা জেলার মধ্যে চলে আসছে”। তার কথায়,”বারবার দিল্লি গিয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের ভুল না বুঝিয়ে আয়নার মুখ দেখুন”। পাশাপাশি দিলীপ ঘোষকে নিয়ে তিনি বলেন, “তিনি অর্ধেক বোঝেন অর্ধেক বোঝেন না “।
- Advertisement -
এদিন সৌমিত্র খাঁ আরও বলেন, “ভোটের একমাস আগে এসে উনি সব চোর, চিটিংবাজকে জয়েন করিয়েছেন, সেই সময় থেকেই অনেক কিছুই আমার ভাল লাগেনি। স্বাভাবিকভাবেই প্রতিবাদ করেছিলাম। সেই কারণেই আমাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখনও যদি না বলি কোনওদিন বোঝাতে পারব না, তাই এখন বললাম, ভুল যদি হয়, যে কোনও পরিস্থিতিতে আমি প্রতিবাদ করব”। তার অভিযোগ, ব্যক্তিগত স্বার্থে বিজেপিতে এসেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেছেন, “আমি কোনও স্বার্থ নিয়ে বিজেপিতে আসিনি। আমার কোনও দাদা, ভাইয়ের জন্য কিছু করার নেই। আজও আমার একতলা বাড়ি”।
উল্লেখ্য, দলের প্রথম সারির নেতার এইরকম মন্তব্যে স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তিতে পড়েছে বিজেপির অন্যান্য নেতারা। সুত্রের খবর,আজ বুধবারই সন্ধ্যা বেলার দিকে দলের তরফে বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে। অপরদিকে সৌমিত্র বাবুর আক্রমণ প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, “সৌমিত্র আমার ভাই, আমি ওর কথা সিরিয়াসলি নিইনি। কোনও কারণে হয়তো বলেছে। পরবর্তীতেও ওর প্রয়োজনে পাশে দাঁড়াবো।”