ব্যুরো রিপোর্ট , এক্সপোস :- ১৮৫ বছরের ইতিহাসে এমন দৃশ্যের দেখা মেলেনি কখনো , এ কোন মেডিক্যাল কলেজ ? যেখানে সবসময় ব্যাস্ততা তুঙ্গে , চিকিৎসা বিজ্ঞানে মাইলস্টোন তৈরি করার তাগিদ তা আজ অতীত বলে মনে হয় । ঐতিহ্যবাহী কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ আজ খাঁ খাঁ করছে , নেই স্টাফ নেই ডাক্তার নেই রোগীও ।
শেষ ৪৮ ঘন্টায় এক প্রকার বিপর্যস্ত এই ঐতিহাসিক ইমারত । হাজিরার খাতায় কালির দাগের সংখ্যা তলানিতে এসে ঠেকেছে , রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের ইতিহাসে এত কম সংখ্যক হাজিরা বা উপস্থিতি কোন সরকারি বা বেসরকারি হাসপাতালে আজ পর্যন্ত হয়নি । খুব জোরাজুরি করেও নার্স , পিজিটি ইন্টার্ন , ডাক্তার ও অন্যান্য স্বাস্থ্য কর্মী সহ সর্বসাকুল্যে ৩০ শতাংশ উপস্থিতি কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে । হাসপাতাল সূত্রে খবর , ওপিডি থেকে ওয়ার্ড ডাক্তারের , নার্সের পাশাপাশি রোগীর সংখ্যাও নেই বললেই চলে । অনুপস্থিত বিভাগীয় প্রধানরা , সময় ফুরিয়ে যাবার মত টিমটিম করে চলছে ফিবার ক্লিনিক । ইন্ডোরে সব মিলিয়ে ৫০ থেকে ৬০ জন রোগী রয়েছেন , শত ডাকাডাকি করেও মিলছে না ডাক্তার , মিলছে না নার্স । ঠিক এমনটাই অভিযোগ ।
- Advertisement -
এদিকে জুনিয়র ডাক্তাররাও যোগ দেননি কাজে , তাদের দাবি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের বিধি নিয়ম মেনে কোন কাজই হচ্ছে না মেডিক্যাল কলেজে । সুরক্ষার দাবিতে তারাও কাজে যোগ দেননি মঙ্গলবার । তবে বিকেলের পর বৈঠক শেষে তাদের দাবি মেনে নেয় মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ ।
এই বিপর্যয়ের মাঝেও আতঙ্কের খবরের খামতি নেই । প্রসূতি বিভাগের ৪ (চার) জন নার্সের করোনা সংক্রমণ পজেটিভ হওয়ায় অন্যান্য নার্সরা কাজে যোগ দিতে চাইছেন না । নতুন করে ৩ জন রোগীর শরীরে মিলছে কোভিড ১৯ সংক্রমণ । কলকাতা সহ বিভিন্ন জায়গাকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক রেড জোন হিসেবে ঘোষণা করলেও আজ স্বাস্থ্য দফতরের কাছে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজই যেন রেড জোন । দফায় দফায় মেডিক্যাল কলেজের শীর্ষ আধিকারিকদের বৈঠক , যা রিপোর্ট যাচ্ছে স্বাস্থ্য দফতরে । কাদের চিহ্নিত করা হবে ? আপাততভাবে কি বন্ধ করা হবে মেডিক্যাল কলেজ ? যে ভাবে নার্স , ডাক্তার সংক্রমিত হচ্ছে সেক্ষত্রে কোন পথে হাঁটবে মেডিক্যাল কলেজ ?