বিবেক সিংহ, মালদাঃ- মালদা জেলার প্রায় প্রতিবছরেরই প্রধান সমস্যা নদী ভাঙ্গন।জেলার বিভিন্ন প্রান্তের নদীগুলিতে প্রতিবছরই ব্যাপক ভাঙ্গন হয়, কালিয়াচক, মানিকচক, রতুয়া, হরিশ্চন্দ্রপুর ব্লকের বিস্তীর্ণ প্রান্তের মানুষ গঙ্গা নদীর দাপটে প্রতিবছরই বাড়ি ঘর হারায়। এই ভাঙ্গনরোধ করতে ইতিমধ্যেই জেলার বিভিন্ন প্রান্তে রাজ্য সেচ দপ্তর জোর কদমে বালির বস্তা দিয়ে কাজ চালাচ্ছে। এদিন এই বালির বস্তা দিয়ে কাজ করা নিয়েই প্রশ্ন তুললেন কংগ্রেস সাংসদ।
প্রসঙ্গত, এদিন মানিকচকের নদী ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন ও নদী তীরবর্তী মানুষদের সাথে দেখা করতে ঘটনাস্থলে যান দক্ষিণ মালদা লোকসভা কেন্দ্রের কংগ্রেসের সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরী, এদিন তার সঙ্গে ছিলেন মানিকচকের প্রাক্তন বিধায়ক মোত্তাকিন আলম সহ কংগ্রেসের আরও অন্যান্য নেতৃত্বরা। এদিন এলাকা পরিদর্শন করে এবং নদী তীরবর্তী এলাকায় বসবাসকারী মানুষদের সাথে কথা বলে, “মালদার ভবিষ্যৎ অন্ধকার” বলে মন্তব্য করেন দক্ষিণ মালদার কংগ্রেসের বর্ষিয়ান সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরী।
উল্লেখ্য, ভাঙ্গন আটকাতে বালির বস্তা দিয়ে কাজ করার যে প্রক্রিয়া তা নিয়ে রীতিমতো
এদিন কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে তুলোধুনা করেন বর্ষিয়ান কংগ্রেস নেতা। তিনি জানান, অতীতে কেন্দ্রীয় সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ৮০ কিলোমিটার মুর্শিদাবাদের দিকে ও ফারাক্কা ব্যারেজ থেকে মালদার দিকে ৪৮ কিলোমিটার কাজ করবেন। এই নদী ভাঙ্গনকে জাতীয় বিপর্যয়ের নাম দেওয়া হলেও এখন সেগুলো কিছুই নেই।এখন এই কাজ রাজ্য সরকার করবে কিন্তু টাকা লাগবে অনেক। যখনই কোথাও ভাঙ্গন দেখা যাচ্ছে তখনই বস্তা নিয়ে হাজির হচ্ছে রাজ্য সরকার। বস্তায় আপৎকালীন কাজ হলেও স্থায়ী সমাধান সম্ভব নয়। নদীর হাত থেকে মালদাকে রক্ষা করতে হলে ভালোভাবে কাজ করতে হবে। বোল্ডার দিয়ে যদি এখনই কাজ না হয় তাহলে আগামী দিনে আরও খারাপ পরিস্থিতি হবে মালদার। আর তাই কংগ্রেস নেতা জানান, মালদার ভবিষ্যৎ খুব অন্ধকার, তবে আমি আগেও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে ভাঙ্গন নিয়ে কথা বলেছি, আবারও প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানাবো উত্তরবঙ্গের দিকে দৃষ্টি দেওয়ার জন্য, তা না হলে উত্তরবঙ্গ শেষ হয়ে যাবে।
অপরদিকে নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষদের অভিযোগ, চরম দুর্দশায় কাটছে দিন, মাসখানেকের মধ্যে আবারও তীব্র ভাঙ্গন শুরু হবে তখন কেউ রক্ষা করতে পারবে না, বছরের পর বছর কাটলেও কেউ আমাদের দিকে ফিরেও তাকায় না। তাদের বক্তব্য, ভাঙ্গনে এর আগেও সর্বস্ব হারিয়েছি আগামীতেও হারাতে হবে।