দ্য এক্সপোজ ব্যূরো- আগামী ১০ অক্টোবর থেকে ধাপে ধাপে পর্যটন চালু করতে সিকিম রাজ্য সরকার উদ্যোগ গ্রহন করলেও এখনই সরকারি সিদ্ধান্তের শরিক হতে নারাজ সিকিমে পর্যটনের দুই প্রধান কেন্দ্র লাচুঙ এবং ইয়ুকসাম।এই দুটো এলাকার পর্যটন শিল্পের সঙ্গে জড়িত সংগঠনগুলো তাদের সিদ্ধান্তের কথা সিকিম রাজ্য প্রশাসনকে জানিয়েও দিয়েছে।
জানা গিয়েছে যে দেশ বিদেশের পর্যটকদের অত্যন্ত পছন্দের গন্তব্যস্থল লাচুঙ ও ইয়ুকসামে করোনা এখনও অব্দি থাবা বসাতে পারেনি।একবার পর্যটকরা আসতে শুরু করলে এখানেও করোনা ছড়িয়ে পড়বে মূলত এই আশঙ্কা থেকেই আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত পর্যটকদের জন্য দরজা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি,সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২৭০০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত লাচুঙের বাসিন্দাদের মধ্যে ৭০ শতাংশ বয়স্ক নাগরিক। প্রতিনিয়ত তাদের চিকিৎসা জরুরি হলেও লাচুঙে চিকিৎসা পরিকাঠামো একেবারেই বেহাল।পর্যটন চালুর পর এলাকায় করোনা দেখা দিলে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কর্মরত ৬ জন স্বাস্থ্যকর্মীকে দিয়ে তা মোকাবিলা করা কার্যত অসম্ভব।লাচুঙের স্বশাসিত সংগঠন লাচুঙ জোমসা(Dzomsa)র সভাপতি তেনজিঙ ওঙপু বলেন,গত ২৫ সেপ্টেম্বর লাচুঙে পর্যটন শিল্পের সঙ্গে জড়িত সকলের উপস্থিতিতে আয়োজিত একটি বৈঠকে যুক্তি খাঁড়া করে সরকারি সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করা হয়েছে। উল্লেখ্য, প্রায় ১৮০০ মানুষের বসবাস লাচুঙে।একদিকে বরফে মোড়া ইয়ুমথাঙ উপত্যকা এবং অন্যদিকে চিন সীমান্তের জিরো পয়েন্ট এই দুয়ের অমোঘ আকর্ষনে পর্যটন মরশুমে দেশ বিদেশের পর্যটকদের ভিড়ে ঠাসা থাকে লাচুঙ।পর্যটকদের অত্যন্ত পছন্দের গন্তব্য বলেই এখানে ১৫০ টি হোটেল ও প্রচুর সংখ্যায় হোম স্টে চালু আছে।
- Advertisement -
উল্টোদিকে,গোচিলা ও জংরিলা গিরিপথ ধরে ট্রেকিং করার প্রবেশদ্বার বলে পরিচিত ইয়ুকসাম।বর্ষায় ধসের কারনে এই গিরিপথগুলোতে পৌছানো কার্যত অসম্ভব।পাশাপাশি করোনা আতঙ্ক তো রয়েইছে। এই দুয়ের প্রভাবে লাচুঙের পথে হেঁটে ইয়ুকসাম ট্যূরিজম ডেভেলপমেন্ট কমিটিও আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত পর্যটন চালু করতে নারাজ। এক বিবৃতিতে ইয়ুকসাম ট্যূরিজম ডেভেলপমেন্ট কমিটির সভাপতি কার্জঙ ভুটিয়া এমনই তথ্য জানিয়েছেন।
এদিকে, সিকিমে পর্যটনের দুই সেরা আকর্ষন লাচুঙ ও ইয়ুকসাম আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত পর্যটকদের জন্য দরজা বন্ধ করে দেওয়ায় ১০ অক্টোবর থেকে সিকিমে ধাপে ধাপে পুনরায় পর্যটন চালু করার সরকারি উদ্যোগ যে ধাক্কা খাবে তা নিশ্চিত।