দ্য এক্সপোস ব্যুরোঃ- বর্ধমানের রমনা বাগানে জন্ম হওয়া চিতাবাঘ শাবককে খুঁজে না পাওয়ায় আলোড়ন পড়ে গিয়েছে সমগ্র বন-দপ্তর জুড়ে। একটি সদ্য জন্ম নেওয়া নয় দিনের চিতাবাঘ কিভাবে উধাও হয়ে যেতে পারে এই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে। অনেক পশুপ্রেমীদের অভিযোগ শাবকটিকে পাচার করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই বিষয়টিকে অগ্রাহ্য করেছেন রমনা বাগানের বন- কর্মীরা। তাদের ধারণা, শাবকটিকে তার মা খেয়ে ফেলেছে।
জানা গিয়েছে,গত ১১ সেপ্টেম্বর রমনাবাগান অভয়ারণ্যের আবাসিক চিতাবাঘ কালী একটি শাবকের জন্ম দেয়। কিন্তু শনিবার খাঁচা পরিদর্শন করতে গিয়ে বন কর্মীদের চোখে পড়ে সেখানে বাচ্চা শাবকটি নেই। এরপরেই হই-চই শুরু হয়ে যায় বন-দপ্তর জুড়ে। বন-কর্মীদের ওপরে অভিযোগ আনলে,আঞ্চলিক বনাধিকারিক দেবাশিস শর্মা বলেন,” মা চিতাবাঘটির মল পরীক্ষা করে কিছু হাড় ও লোম পাওয়া গিয়েছে। এর থেকে অনুমান করা যেতে পারে, চিতাবাঘটি তার শাবককে খেয়ে ফেলেছে। উদ্ধার হওয়া হাড় ও লোম ডিএনএ পরীক্ষা করার জন্য পাঠানো হচ্ছে।’’
কিন্তু এই বিষয়ে গোলাপবাগের বাসিন্দা পশুপ্রেমী অভিজিৎ মণ্ডল বলেন, অভযয়ারণ্য জুড়ে অনেক সিসি.টিভি ক্যামেরা রয়েছে তা সত্ত্বেও কেন সেই ক্যামেরা দিয়ে বাচ্চা শাবকটির ওপরে কেন নজর রাখা হয়নি? এক্ষেত্রে বন আধিকারিকদের গাফিলতি স্পষ্ট ভাবে প্রকাশ পায় বলে জানান তিনি। এছাড়াও আরও পশুপ্রেমীদের অভিযোগ এই নিয়ে এই রমনা বাগানে বাঘ, হরিণ, ময়ূর ও অন্যান্য বেশ কিছু পশুপাখির মৃত্যু হয়েছে। এমনকি তারা এও বলেন, এই বাগানের পরিবেশ মোটেই বন্যপ্রাণীদের রাখার অনূকূল নয়।
- Advertisement -
একই সঙ্গে এই অভয়ারণ্যের কর্মীদের বন্যপ্রাণীদের দেখভালের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ রয়েছে কি না তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। এই শাবকটি উধাও হয়ে যাওয়া নিয়ে বেশিরভাগ পশুপ্রেমীদের ধারণা লকডাউনের সুযোগ নিয়ে তাকে বনকর্মীরা পাচার করে দিয়েছে কারণ “মা চিতাবাঘ তার বাচ্চাকে কোনোদিনই খায় না,যদি বাচ্চাকে তারা নিজের কাছে রাখতে না চায় তাহলে তারা তাকে ছেড়ে অন্য জায়গায় চলে যায়, সে ক্ষেত্রে মা চিতাবাঘের শাবকটিকে খেয়ে ফেলা অত্যন্ত বিরলতম ঘটনা।” পশুপ্রেমীরা এও ধারণা , হয়ত সেখানে পশু-পাখিদের ঠিকমত খেতে দেওয়া হয় না। বন বিভাগের আধিকারিকেরা উদ্ধার হওয়া হাড় ও লোম ডিএনএ পরীক্ষা করার জন্য পাঠিয়েছেন। খুব শীঘ্রই এর সত্যতা জানা যাবে।