দ্য এক্সপোস ব্যুরোঃ- চরম জলকষ্টের মুখে আসাম, এখনও পর্যন্ত প্রায় ৫৫ লক্ষ মানুষ দুর্গত এলাকায় আটকে, ভয়াবহ বন্যায় জলের তোড়ে ডুবে গিয়েছে ঘরবাড়ি, না আছে আশ্রয়, না আছে অন্ন। প্রতি মুহূর্তে অবনতি হচ্ছে অবস্থার। অথচ সাধারণ মানুষের এই অবর্ণনীয় দুর্ভোগ-দুর্দশার দিকে যেন কোনও ভ্রুক্ষেপই নেই রাজ্যের বিজেপি সরকারের, তারা ব্যস্ত রাজনীতিতে। বন্যা দুর্গতদের পাশে না দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা ঘুরে বেড়াচ্ছেন উপনির্বাচনের প্রচারে। আবার এই বিপর্যয়ের মধ্যেই মহারাষ্ট্রের বিদ্রোহী শিব সেনা বিধায়কদের অপ্যায়ণে ব্যস্ত বিজেপি নেতারা। বন্য নিয়ে প্রশাসনের এই উদাসীনতার বিরুদ্ধে এবার পথে নামল তৃণমূল।
প্রসঙ্গত, মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী তথা শিব সেনার বিক্ষুব্ধ নেতা একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বে প্রায় ৪০ সেনা বিধায়ক গুয়াহাটির একটি রিসর্টে রয়েছেন। যেই রিসোর্টে শিবসেনার সকল বিধায়কদের রাখা হয়েছে, এদিন সকালে সেই হোটেলের বাইরেই বিক্ষোভ দেখান অসমের তৃণমূল কর্মীরা। এদিনের বিক্ষোবের সামিল হয়েছিলেন দলের রাজ্য সভাপতি রিপুণ বোরা। তৃণমূল কর্মীদের সেই বিক্ষোভ দমন করতে পুলিশ দিয়ে কর্মীদের রীতিমতো গ্রেপ্তার করায় অসম সরকার, যার ফলে আরও ক্ষিপ্ত তৃণমূল নেতা নেতৃত্বরা।
উল্লেখ্য, অসম তৃণমূল কর্মীদের তরফ থেকে গতকালই টুইট করে জানানো হয়, “এখনও অসমের বিভিন্ন জায়গায় বিদ্যুৎ নেই, নেই বিশুদ্ধ পানীয় জল। বিদ্যুৎ বিপর্যয় মোকাবিলায় এখনো পর্যন্ত কোনও পদক্ষেপ নেয়নি সরকার, শুধু তাই নয় মানুষের দুর্ভোগ লাঘব করতে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। কোন দুর্গতদের পাশে এসে দাঁড়াননি নেতা-মন্ত্রীরা। মাতামাতি হচ্ছে ৪০ জন ভিন রাজ্যের বিধায়কদের দিয়ে”। টুইটে তৃণমূল আরও বলে, এই মুহুর্তে অসম বিজেপির সস্তা রাজনীতি সকল রাজ্যবাসীর কাছে স্পষ্ট। বলাবাহুল্য বিজেপির এইরূপ অসংবেদনশীল মনোভাবের কারণেই আজ বৃহস্পতিবার রাস্তায় নামে তৃণমূল।