নিজস্ব প্রতিনিধি , ক্যানিংঃ- ট্রেন চলাচল বন্ধ। টানা দু’মাসের লকডাউনের কবলে পড়ে কাজ হারানো মানুষদের উনানে হাঁড়ি চড়া প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছিলে। এক প্রকার অর্ধাহরে দিন কাটছিলো তাদের। মাতলা নদীর চরে ম্যানগ্রোভ রোপনের ভার তুলে দিয়ে একশো দিনের কাজের মাধ্যমে কিছুটা আয়ের পথ দেখিয়ে দেন ক্যানিং পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক পরেশরাম দাস।
ঘটনাটি দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ের। বিধায়ক পরেশরাম দাসের দেওয়া কাজ পেয়ে বেজায় খুশি ক্যানিংয়ের মাতলা নদীতে ধারে বসবাসকারী হাতদরিদ্র মানুষজন। সোমবার নিকারিঘাটা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় পরেশবাবুর উদ্যোগে একটি অনুষ্ঠান করে ‘গ্রামীণ স্বরজগার কর্মসূচি’ পালিত হয়েছে। বিধায়ক জানান , ‘আমি এঁদের বলেছি মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প ‘১৫ কোটি ম্যানগ্রোভ নদীর ধারে ধারে রোপন করে কৃত্রিম বন তৈরি করে নদীর বাঁধ রক্ষা করতে হবে। পাশাপাশি মাটি দিয়েও বাঁধ রক্ষা করতে হবে।’ বিধায়ক এদিন শতাধিক শ্রমিকের হাতে কোদাল এবং এক মাসের ত্রাণ সামগ্রী তুলে দেন।
- Advertisement -
ভোটের পর থেকে ‘একশো দিনের কাজ’ বন্ধই ছিল। ট্রেন বন্ধ থাকায় নদী এলাকার বাবাসকারী মহিলারা কলকাতায় পরিচারিকার কাজে যেতে পারছিলেন না। পুরুষদের দিনমজুরের কাজ বন্ধ ছিল। বলতে গেলে এঁদের রুজিরোজগার একরকম বন্ধই হয়ে ছিলো। অর্ধাহারে দিন কাটছিল এঁদের। লোকমুখে পরেশরামবাবু তাঁদের দুর্দশার কথা জানতে পেরে সব মানুষকে নিয়মিত কাজ পাইয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নেন এবং চট জলদি ‘একশো দিনের কাজে’র ব্যবস্থাও করে ফেলেন।
সোমবার থেকে নতুন উদ্যোমে কাজ শুরু হবে শুনে গ্রামবাসীরা ভোর থেকেই ‘হ্যান্ডমাইক’ নিয়ে ‘ডাক ঢোল’ পিটিয়ে সারাগ্রামে শ্রমিকরা নিজেরাই প্রচার করেছেন। তাঁদের দিয়েই এদিন থেকেই নদীর চরে আবার ম্যানগ্রোভ চারা রোপনের কাজের সূচনা করলেন বিধায়ক। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ক্যানিং-১ ব্লকের বিডিও শুভঙ্কর দাস। তিনি এদিন বলেছেন, ‘যে আসবে আমরা তাঁদের ‘একশো দিনের কাজে’র ব্যবস্থা করে দেবো। আমরা চাই কাজে সক্ষম কোনও মানুষ যেন ঘরে বসে না থাকেন।’ এদিনের অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ক্যানিং ১ বিডিও শুভঙ্কর দাস,জেলাপরিষদ সদস্য সুশীল সরদার, নিকারিঘাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সহ অন্যান্যর।