দ্য এক্সপোস ব্যুরোঃ- হাতে বাকি আর কয়েকটা মাস, সামনেই বিধান সভা ভোট, ভোটকে ঘিরেই ইতিমধ্যেই সরগরম রাজ্য রাজনীতি, তারই মাঝে দলীয় নেতা-কর্মীদের কর্মসূচি চলছে রাজ্য জুড়ে, সফরেও বেড়িয়ে পরেছেন রাজ্যের উচ্চপদস্থ নেতা-নেত্রীরা, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বেড়িয়েছেন রাজ্য সফরে, ঘুরে দেখছেন রাজ্যের বিভিন্ন জেলা, তাঁর নির্দেশ অনুযায়ী তৃণমূলের বাকি নেতারাও বেড়িয়েছেন জেলা ঘুরে দেখতে এবং খুটিয়ে দেখছেন দলীয় কর্মসূচি, ভোটারদের মনের কথা জানতেই এই কর্মসূচি, এদিকে দল বদল রয়েছে অব্যাহত, প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছেন খবরের শিরোনামে থাকা শুভেন্দু অধিকারী। তারপর থেকেই সেই দল বদল যেন আর থামছে না, প্রায় প্রতিদিন খবর মিলছে সেই খবর।
উল্লেখ্য, শুভেন্দু অধিকারীর প্রসঙ্গ উঠলেই উঠে আসে নন্দীগ্রামের প্রসঙ্গ। এবার সেই নন্দীগ্রামকে কেন্দ্র করেই শুরু হল রাজনৈতিক টানাপোড়েন। বুধবার মধ্যরাতে নন্দীগ্রামে বোমাবাজির অভিযোগ উঠলো। এ দিন শহিদ বেদিতে শুভেন্দুর মাল্যদানের সময় ঘটনাটি ঘটে বলেই খবর পাওয়া যাচ্ছে, প্রসঙ্গত, মধ্যরাতে নন্দীগ্রাম দিবস পালন করলেন শুভেন্দু অধিকারী। রাত ১২টা বাজার সঙ্গে সঙ্গেই সোনাচূড়ায় পৌঁছন তিনি এবং শহিদ বেদীতে মাল্যদান করেন শুভেন্দু অধিকারী। উল্লেখ্য, ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির ব্যানারে এই অনুষ্ঠানে মোমবাতি হাতে হাজির ছিলেন প্রচুর সাধারণ মানুষ। তবে জানাযায়, এদিন অনুষ্ঠান চলাকালীন দুষ্কৃতীরা একটি বোমা ফাটায় সেখানে। ফলত পরিস্থিতি বেগতিক হাওয়া শুরু করে মুহুর্তের মধ্যে।
সুত্রে খবর, ৭ তারিখ ভোরের আলো ফোটার আগে শহিদ স্মরণের অনুষ্ঠান সেরে ফেলেন শুভেন্দু অধিকারী। এদিন ভাঙাবেড়িয়ায় শহিদ বেদিতে মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানালেন শুভেন্দু অধিকারী। নন্দীগ্রামে শহিদ দিবস পালনে তিনি বিজেপির প্রতিনিধিত্ব করলেন এদিন। এবং সেখান থেকেই একরকম কটাক্ষ করে বললেন,”বিগত দিনগুলিতে অনেকে আসেননি আগামি দিনেও আসবেন না। এ বছর বিধানসভা নির্বাচন। অনেকের অনেক উদ্দেশ্য থাকতে পারে। আমি কোনও রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে এখানে আসিনি। সাধারণের একজন হিসেবে এসেছি।”
- Advertisement -
এ দিন কার্যত তৃণমূলকে তোপ দাগেন তিনি, এদিন তোপ দেগে শুভেন্দু কটাক্ষ করে বলেন , “আমি এখানে শহীদ মিনারে আসতে পারব না। ফুলদিতে পারব না। কিন্ত শুভেন্দু অধিকারী এসবের ভয় করে না। আমি রক্ত চক্ষুকে উপেক্ষা করে অনেক লড়াই করেছি। আমাকে এসব করে কিছু হবেনা। আগামিকাল শহীদ মিনার এর গেট খোলা থাকবে কেউ যদি ফুল দিতে চান দিয়ে যাবেন “
উল্লেখ্য, ২০০৭ সালের ৭ জানুয়ারি মাসে জমিরক্ষা আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত তিন আন্দোলনকারীর (বিশ্বজিৎ মাইতি, শেখ সেলিম ও ভরত মণ্ডল) দেহ উদ্ধার করা হয় স্থানীয় সোনাচূড়ার ভাঙাবেড়িয়া সেতুর কাছ থেকে। তারপর এই তিনজনকেই জমি রক্ষা আন্দোলনের প্রথম শহিদের সম্মান দেন আন্দোলনকারীরা। তারপর থেকে তাঁদের স্মরণ করেই প্রতি বছর ভাঙাবেড়িয়ায় শহিদ বেদীতে মাল্যদান করে তৃণমূল নেতৃত্ব। এবারও নন্দীগ্রাম দিবস পালন করল তৃণমূল । এদিন ভাঙাবেড়ায় শহিদ বেদিতে মাল্যদান করেন তৃণমূল নেতা সুব্রত বক্সি, সাথে ছিলেন শেখ সুফিয়ান সহ জেলার অন্যান্য নেতারা এবং এর সাথে সাথে সকাল নটায় নন্দীগ্রাম কলেজ মাঠে তৃণমূল কংগ্রেস সভাও করবে বলে জানাযাচ্ছে। সব মিলিয়ে ভোটের আগে নন্দীগ্রামকে ঘিরে তুমুল রাজ্য রাজনীতি।