দ্য এক্সপোস ব্যুরোঃ- শাসকদলের গোষ্ঠীকোন্দলের শিকার নিরপরাধ কিছু আদিবাসী পরিবার। নারায়ণগড়ের মকরামপুরের এই ঘটনায় বাড়ল রাজনৈতিক তরজা।
প্রসঙ্গত, শাসকদলের গোষ্ঠীকোন্দলের জেরে বরাবরই শীর্ষে থেকেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড়। এবারে সেই নারায়ণগড়েই গোষ্ঠীকোন্দলের জেরে সামাজিক বয়কটের অভিযোগ। জানা গিয়েছে, গোষ্ঠীকোন্দলের জেরে প্রায় ৪২ টি আদিবাসী পরিবারকে বয়কট করা হয়েছে। বয়কটের জেরে মিলছে না পানীয় জল, ১০০ দিনের কাজ এবং কোনো সরকারি পরিষেবা। ফলে স্বাভাবিকভাবেই চরম সমস্যার মুখে পড়েছেন নারায়ণগড়ের তালা, ফুলগেরিয়া এই দুই গ্রামের ৪২ টি আদিবাসী পরিবারের সদস্যরা।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, দীর্ঘ প্রায় দু বছর ধরে এই ৪২টি আদিবাসী পরিবারকে দেওয়া হচ্ছে না কোনও সরকারি সাহায্য। জব কার্ড দেখানো সত্ত্বেও মিলছে না ১০০ দিনের কাজ, এমনকি মিলছে না রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেট। এই সমস্যা সম্পর্কে দলের বিভিন্ন স্তরের নেতাদের জানিয়েও কোনো সুরাহা পায়নি আদিবাসী পরিবারের সদস্যরা। শেষমেষ কয়েকদিন আগে নারায়ণগড় থানা ও বিডিওর কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন বয়কট হওয়া এই দুটি গ্রামের মানুষেরা। অভিযোগ পেয়ে এক দফা এসে গ্রামে ঘুরে গিয়েছেন বিডিও। কিন্তু তা সত্ত্বেও আশ্বস্ত হতে পারেননি গ্রামবাসীরা।
অপরদিকে এদিন সাংবাদিকদের গ্রামে পৌঁছানোর খবর পেয়েই এলাকায় ছুটে আসেন ব্লক তৃণমূল সভাপতি সহ আরও অন্যান্য প্রশাসনিক আধিকারিকরা। তবে গ্রামে ঢোকা মাত্রই গ্রামবাসীদের প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়েন ব্লক তৃণমূল সভাপতি সহ অন্যান্যরা। গ্রামবাসীদের আনা অভিযোগ অস্বীকার করেন অঞ্চল সভাপতি লক্ষীকান্ত শিট। এমনকি গ্রামের সামাজিক বয়কটের শিকার কেউ নেই বলে দাবি করেছেন তৃণমূলের ব্লক সভাপতি মিহির চন্দ। এছাড়াও এই সামাজিক বয়কটের কথা অস্বীকার করেছেন নারায়ণগড় পঞ্চায়েত সমিতির সহকারি সভাপতি গণেশ মাইতি। উল্লেখ্য, এই ঘটনার পরেই শাসকদলকে নিয়ে একপ্রকার কটাক্ষ করেন বিজেপির সহসভাপতি শঙ্কর গুচ্ছাইত।