সুনন্দা ঘোষ , এক্সপাস ডেস্ক :- কোরোনা আবহে শরীরে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ানো একান্ত প্রয়োজনীয়। আর সেই প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ভেষজ উপাদানের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। আর সেই কারণেই আইসিএমআর আয়ুশ মন্ত্রকের মিলিত সহযোগে অশ্বগন্ধা, গুড়ুচি ও যষ্টিমধুর উপর ক্লিনিকাল ট্রায়াল চলছে।অশ্বগন্ধা থেকে টিকা বানানোর চেষ্টা করছেন আইআইটি, দিল্লি ও জাপানের সায়েন্টিফিক ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীরা।
আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি কোনো মানুষ রোজ “কালমেঘ, চিরতা, তুলসির সঙ্গে গুড়ুচি বা গুলঞ্চ ও যষ্টিমধু মিশিয়ে খেতে পারেন, তাহলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠে, যা কোরোনা সংক্রমণ রুখতে পারে। এমনকি কিভাবে খেতে হবে তাও বলেছেন বিশেষজ্ঞ বিশাখা মাহেন্দ্র।
- Advertisement -
এক গ্লাস জল ফুটিয়ে , সেই ফোটান জলে আধ চা-চামচ করে কালমেঘ, চিরতা, গুলঞ্চ, তুলসির বীজ ও যষ্টিমধু মিশিয়ে আঁচ কমিয়ে খানিক ক্ষণ ফুটিয়ে নিতে হবে। যদি তুলসির বীজ না পাওয়া যায় তাহলে ৬-৭টা তুলসি পাতা দিয়েও করা যাবে। তারপর সেই জলটি ঠান্ডা করে ছেঁকে খেতে হবে। যদি বেশি তেতো বা ঝাঁঝালো লাগে তাহলে এক চামচ মধু মিশিয়ে নেওয়া যেতে পারে।এমনকি খাঁটি মধুরও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আছে। যদি সময় থাকে তাহলে এই সব উপাদান সারা রাত জলে ভিজিয়ে রাখলে সকালে খেলে একই ভাবে কাজ করবে। এছাড়াও কালমেঘ পাতায় থাকে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট।
এই সকল উপাদান শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়াও এর অনেক গুন আছে
কালমেঘে আছে নানা রকম অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। আয়ুর্বেদ মতে নিয়মিত খেলে শরীরে কফ ও পিত্তের মধ্যে সমতা থাকে। ফলে ঠান্ডা লাগা, ফ্লু, গলা-ফুসফুসে সংক্রমণের প্রকোপ কম থাকে। কমে প্রদাহের প্রবণতা থাকে।
জ্বর ও হাঁপানির প্রকোপ কম রাখার প্রাকৃতিক ওষুধ হল গুলঞ্চ। কোভিডের কিছু উপসর্গও কমাতে পারে বলে জানা গিয়েছে ক্লিনিকাল ট্রায়ালে। মানসিক চাপ ও উদ্বেগ কমাতেও এর ভূমিকা আছে বলে জানিয়েছেন বিশাখা মাহেন্দ্র।
হাঁপানির প্রকোপ কম রাখতে ও বুকে জমা কফ তুলতে চিরতা অদ্বিতীয়। তবে গর্ভাবস্থায় না খাওয়াই ভাল।
নিয়মিত তুলসির বীজ খেলে কফ জমতে পারে না। তুলসীর ভাইরাস মারারও ক্ষমতা আছে। এছাড়াও যষ্টিমধু খেলে গলাব্যথা ও শুকনো কাশি কমে। সর্দি-কাশি ও বুকে কফ জমার প্রবণতা কম থাকে। প্রদাহ কমাতে ও সরাসরি জীবাণু মারতেও এর ভূমিকা আছে।