দ্য এক্সপোস ব্যুরো :- পুষ্টিকর খাদ্যের ডায়েটের কথা আমরা সবসময়ই শুনে থাকি। তবে কার শরীরে কতটা পুষ্টি প্রয়োজন সে কথা আমাদের অনেকের কাছেই অজানা। আর সেই ডায়েট চার্ট নির্ভর করে মানুষের বয়স, ওজন ও সে কতটা শারীরিক পরিশ্রম করছে তার ওপর। ডায়েট চার্টে ঠিক ততটাই ক্যালোরি থাকা প্রয়োজন যতটা ক্যালোরি একদিনে সেই ব্যক্তি বার্ন করতে পারবে।তাছাড়াও বিভিন্ন বয়সে পুষ্টির যোগান পূরণের জন্য অনেক সময় প্রয়োজন কিছু সাপ্লিমেন্টেরও। তাই ছোট থেকেই মা বাবাকে সন্তানের যথাযথ পুষ্টি জোগাতে সুষম খাদ্যের অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। আবার অনেক সময় দেখা যায় বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ছোটদের বাড়ির খাবারের থেকে ফাস্টফুড বা রাস্তার খাবারের দিকে ঝোঁক বেশি থাকে।
উপরন্তু এখন বাইরে খেলার প্রবণতা কমছে বাড়ছে মোবাইল গেমসের চল। ফলে আগে যে সমস্ত রোগের লক্ষণ ৩০ বছর বয়সের পরে দেখা যেত সেই সব রোগ এখন থাবা বসাচ্ছে টিনেজেই। খুব অল্প বয়সেই চর্বি জমে প্রভাব ফেলছে গ্রোথ হরমোনের উপর। আরও একটু বয়স বাড়লে যা ডেকে আনতে পারে ইনসমনিয়া, অ্যাংজ়াইটি, টাইপ টু ডায়াবিটিস, ফ্যাটি লিভার বা পলিসিস্টিক ওভারির মতো সমস্যাকেও।
- Advertisement -
অনেকেরই ধারণা যে, প্রোটিন হয়তো শুধুমাত্র শরীরের বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজন,তাই তিরিশ বা চল্লিশোর্ধ ব্যক্তিকে অনেক সময়ই আমরা নিরামিষ খেতে দেখে থাকি। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই অভ্যাস চোখে পড়ে কোলেস্ট্রল উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে এমন ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে। তবে এই ধারণা ভুল। প্রোটিন শুধুমাত্র বৃদ্ধির ক্ষেত্রেই নয় শরীরে পেশী মেরামতির কারণেও প্রয়োজন। এই পার্থক্যটা যে ব্যক্তি খাদ্যে প্রোটিন নিচ্ছে এবং যে ব্যক্তি প্রোটিন ছাড়া খাওয়ার খাচ্ছে তাদের শরীরের গঠণের পার্থক্য দেখলেই বুঝতে পারা যায় অনেক ক্ষেত্রেই।
মোট প্রোটিন ইনটেকের ৫০ শতাংশ হাই বায়োলজিক্যাল ভ্যালু, বাকি ৫০ শতাংশ লো বায়োলজিক্যাল ভ্যালু থেকে গ্রহণ করা স্বাস্থ্যসম্মত বলেই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। খাদ্য তালিকা নিয়ে আরো বেশ কিছু ভুল ধারণা রয়েছে অনেকের মধ্যেই যেমন, গুড ফ্যাট ও ব্যাড ফ্যাটের মধ্যে পার্থক্য করতে পারে না অনেকেই। অন্যদিকে যারা আবার সারাদিনে এক ঘন্টা এক্সারসাইজ করেই নিজের শরীরের ব্যাপারে নিশ্চিন্ত হয়ে যাচ্ছেন অথচ বাকি সারাদিনই মোবাইল ফোন কিংবা ল্যাপটপের সামনে অনড় ভাবে বসে তাদের কাছে কিন্তু সেই এক্সারসাইজ সত্যিই অকেজো। সারাদিন বিভিন্ন রকমের ডায়েট ফলো করে দিনে ৪-৫ কাপ চা বা কফি কিন্তু সারাদিনের ডায়েট প্ল্যান কে অকেজো করে দিতে সক্ষম। তাই পুরো দিন কিছুক্ষণ পরপর কিছুক্ষণের জন্য হাঁটাচলা করে শরীরের মুভমেন্ট করানো রক্ত চলাচল বজায় রাখা ও সুস্বাস্থ্য ধরে রাখার জন্য অত্যন্ত জরুরী বলছেন বিশেষজ্ঞরা। পাশাপাশি ভিটামিন ক্যালসিয়াম গ্রহণ করলেও প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় কেন কোনরকম পুষ্টির কোন অভাব না থাকে সেটা মাথায় রাখা কিন্তু সুস্বাস্থ্য গড়ে তোলার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।