দ্য এক্সপোস ব্যুরোঃ- বিধান সভা ভোটের আগে রাজনৈতিক তড়জা তুঙ্গে, চলছে কটাক্ষের লড়াই। নাম জড়াচ্ছে বিশেষত তৃণমূল এবং বিজেপি উভয় দলের নেতা -কর্মীদের। একে অপরের দিকে কাঁদা ছোড়াছুড়িতে মেতে উঠেছে দলীয় কর্মীরা। এদিকে ভোটের প্রাক্কালে দলীয় কর্মসূচিতেও সরগরম রাজ্য রাজনীতির। রাজ্যজুড়ে চলছে তৃণমূলের ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচি। রাজ্য সরকারের প্রকল্পগুলির সুবিধা মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি এই কর্মসূচিকে ঘিরে ভোটের আগে জনসংযোগেও জোর দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।
এবার তৃণমূলের পরেই জনসংযোগে জোর দিল বিজেপি। ভোটারদের দুয়ারে পৌঁছতে স্যানিটাইজারকে হাতিয়ার করল এবার বিজেপি। আগামী মাসেই রাজ্যে শুরু হবে বিজেপির স্যানিটাইজার বিলির কর্মসুচি। প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই বিজেপিকে তৃণমূলের ভ্যাকসিন বলে কটাক্ষ করেছিলেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেছিলেন, “করোনার ভ্যাকসিন এখনও আবিষ্কার হয়নি। কবে হবে নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। কিন্তু, তৃণমূলের ভ্যাকসিন তৈরি হয়ে গেছে। ভারতীয় জনতা পার্টি।”
কার্যত তৃণমূলকে ভাইরাস বলে কটাক্ষ করেছেন গেরুয়া শিবির।
সূত্রে খবর, আগামী মাস থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলে ও শহরতলিতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের পাউচ প্যাকেট বিলি করবেন বিজেপি কর্মীরা এবং সেই পাউচ প্যাকেটে থাকবে বিজেপির প্রতীক। আর এই গোটা কর্মসূচির দায়িত্বে রয়েছেন বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা।এই বিষয়ে বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক অনুপম হাজরা বলেন, “গ্রামাঞ্চলে স্যানিটাইজার বিলি করব, স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিছু করতে পারেনি। বাংলাকে তৃণমূলমুক্ত করতে স্যানিটাইজার বিলি করা হবে” তবে, ইতিমধ্যেই কিছু কিছু রাজ্যে পাঠানো হয়েছে এই সেনিটাইজার পাউচ।
- Advertisement -
অনুপম হাজরা কটাক্ষের পাল্টা কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল কংগ্রেস । এদিন তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “অনুপম হাজরা যে নিজের বাড়ি সামলাতে পারে না সে রাজ্য দেখবে কী করে। বিজেপির জীবাণুমুক্ত করবে মানুষ। আগে নিজের পরিবার সামলান তারপর রাজ্য সামলাতে আসবেন।” কটাক্ষ তার পালটা কটাক্ষের লড়াইয়ে কার্যত রণক্ষেত্র চেহারা নিয়েছে রাজনৈতিক মহল।