এক্সপোস ডেস্ক :- কামসুত্রের ভূমি ভারতবর্ষ, তবে যৌনতা তাও এখানে ট্যাবু। নিজের যৌন জীবন নিয়ে এখানে কথা বলতে স্বচ্ছন্দ বোধ করেননা অনেকেই। পুরুষতান্ত্রিক এই দেশে যৌনতা মহিলাদের কাছে যেন অন্যায়। কাজেই পুরুষদের যৌন কর্মহীনতা যতটা আলোচ্য বিষয় মহিলাদের ক্ষেত্রে তা নয়। হাইপোঅ্যাকটিভ সেক্সুয়াল ডিজায়ার ডিসঅর্ডার ও অর্গাজমিক ডিসঅর্ডার এই দুই ধরনের সেক্সুয়াল ডিসঅর্ডার সাধারণত মহিলাদের মধ্যে দেখা যায়। এই দুটি ক্ষেত্রে যৌন ক্রিয়ায় কোনও আগ্রহ না থাকা বা যৌন মিলনের আকাঙ্ক্ষার অনুপস্থি দেখা যায়।
কি কি কারণে এই দুটি দেখা যেতে পারে মহিলাদের মধ্যে?
এক্সপার্টরা বলছেন মানসিক চাপ এবং বৈবাহিক দ্বন্দ্ব থেকে সাধারনত এই সমস্ত ডিসঅর্ডার দেখতে পাওয়া যায়। ফিমেল সেক্সুয়াল অ্যারাউজ়াল ডিসঅর্ডারের ক্ষেত্রে শরীর যৌন উত্তেজনায় সাড়া দেওয়া বন্ধ করে দেয়। অরগাজমিক ডিসঅর্ডারে মহিলাদের যৌনতার আকাঙ্ক্ষা থাকলেও অর্গাজম পর্যন্ত পৌঁছাতে অক্ষম হন তারা। শৈশবে পাওয়া কোনও মানসিক বা যৌন আঘাত, হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, বৈবাহিক দ্বন্দ্ব এবং মানসিক চাপ হাইপোঅ্যাক্টিভ ইত্যাদি সেক্সুয়াল ডিজায়ার ডিসঅর্ডারের কারন হতে পারে।
এক্ষেত্রে মহিলাদের যৌন আকাঙ্ক্ষার অভাব দেখা যেতে পারে। যোনির টিস্যুতে রক্ত সরবরাহ কমে গেলে সঠিক উত্তেজনার অভাব, পুরুষের কর্মহীনতা, ফোর প্লের অভাব এসমস্ত বিভিন্ন কারণে এই সমস্যাগুলো দেখা দিতে পারে। সাধারণত ৩৫ বছরের বেশি বয়সের মহিলাদের মধ্যে অর্গাজমিক ডিসঅর্ডার দেখা যায়। যদিও বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, সঠিক খাবার খাওয়া এবং নিয়মিত অনুশীলনের মাধ্যমে হরমোনের ভারসাম্য বজায় রেখে এই সমস্যাগুলো সমাধান মহিলাদের ক্ষেত্রে সহজেই করা যেতে পারে। এছাড়াও চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে রয়েছে ফ্লিবানসারিনের মতো ওষুধ যার মাধ্যমে যৌন আকাঙ্ক্ষা বৃদ্ধি করানো যেতে পারে।